প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১, ১১:২৭ এএম আপডেট: ১৫.০৭.২০২১ ১:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সময়, বিষয় ও নম্বর কমিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ের ছয়টি পত্রের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। অন্যান্য বিষয় ম্যাপিং করে পরীক্ষা মূল্যায়ন করা হবে আগের পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি গতবার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের দিকে সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে, গতবারের অভিজ্ঞতায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ কমে নিয়ে যাওয়ার সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষা নেওয়া যদি সম্ভব না হয় তাহলে দুটি অপশনে মূল্যায়ন করা হবে। একটি অপশন হচ্ছে— এসএসসির জন্য ২৪টি এবং এইচএসসির জন্য ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে তা মূল্যায়নের মাধ্যমে ফলাফল দেওয়া। আর একটি হতে পারে শুধু সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়ন করা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি মাস থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১২ সপ্তাহে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের মূল্যায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেটিও দৈবচয়ন ভিত্তিতে নজরদারি করা হবে। ঈদের পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করবেন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। মূল্যায়ন সঠিক হল কিনা তা যাচাই করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদসহ অন্যান্য বোর্ডের চেয়ারম্যান।
ভোরের পাতা/ই