ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে ঈদুল আজহা। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘ত্যাগ’। এদিন মুসলমানেরা ফজরের নামাজের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে স্ব স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উটের মতো পশু আল্লাহর নামে কোরবানি করেন।
করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে কি না, এমন শঙ্কা রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে এবারের কোরবানি ঈদের প্রস্তুতি।
কিন্তু এরই মধ্যে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী গাবতলী পশুর হাটে পৌঁছে গেছে মাদারীপুরের রাজা, কুষ্টিয়ার বাংলার শেষ নবাব।
এরই মধ্যে হাটে নজর কেড়েছে মাদারীপুর থেকে আনা গরু রাজা। বিক্রেতার দাবি রাজাই মাদারীপুরের সবচেয়ে বড় গরু।
কুষ্টিয়া থেকে গাবতলীতে আনা হয়েছে বাংলার শেষ নবাব
রাজার পাশাপাশি ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে ঝিনাইদহ থেকে আনা দুটি গরু বড় ও ছোট বিশ্বাস।
বরিশাল থেকে আনা হয়েছে বিশাল গরু। মালিক তার নাম দিয়েছেন ‘রাজা ভাই’।
দাম হাঁকিয়েছেন ১৮ লাখ টাকা। তিনি নিজেই এটি সাড়ে ৪ বছর লালন পালন করেছেন।
গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, সারাবছর ব্যক্তি পর্যায়ে ও খামারিরা কোরবানির জন্য যে পশু পালন করেন, ব্যবসায়ীরা তা সংগ্রহ করে রাজধানীতে নিয়ে আসেন। আবার অনেক সময়ে কয়েকজন খামারি মিলে একটি ট্রাক ভাড়া করে নিজেরাই পশু আনেন রাজধানীতে। কারণ এর চাহিদা বেশি এবং ভালো দামও পাওয়া যায়।
নাটোর থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, দুই মাস আগে এলাকার বিভিন্ন খামারির কাছ থেকে ১০টি গরু কিনে রেখেছিলাম। সেগুলোই আজ ঢাকার গাবতলী হাটে তুলতে যাচ্ছি। যদিও করোনা, তারপরও আশা করি গরুগুলো বিক্রি করা যাবে।