প্রকাশ: বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১, ১০:৪৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ইউরো কাপের প্রথম সেমিফাইনালে জমজমাট লড়াই উপহার দিলো স্পেন ও ইতালি। যেখানে টাইব্রেকারে গিয়ে শেষ হাসি হাসল ইতালি। ইউরো কাপের সর্বোচ্চ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল আজ্জুরিরা।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হওয়ার ম্যাচটিতে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে ছিল সমতা। পরে অতিরিক্ত যোগ করা সময়েও গোল করতে পারেনি কোনো দল। যার ফলে দ্বারস্থ হতে হয় টাইব্রেকারের। যেখানে ৪-২ ব্যবধানে জিতে ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে টেনে নিয়েছে ইতালি।
ইতালির হয়ে লোকাতেল্লি গোল করতে পারেননি। বেলোত্তি, বোনিচ্চি, বার্নারদেশি ও জর্জিনহো লক্ষ্যভেদ করেন। বিপরীতে স্পেনের ওলমো শুরুতে গোল পাননি। মরেনো ও আলাকানতারা গোল পেলেও মোরাতার ব্যর্থতায় ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারণ হয়ে যায়।
এই নিয়ে রবার্তো মানচিনির দল টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো। সমর্থকদের উল্লাস ছিল দেখার মতো। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অতিরিক্ত সময়ের খেলাতে কোনও দল গোল করতে পারেনি। এখানেও স্পেন আধিপত্য দেখিয়েছে। কিন্তু গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
এর আগে ম্যাচের শুরু থেকে স্পেন আক্রমণে। বল দখলে এগিয়ে থেকে ১২ মিনিটে প্রথম সুযোগও আদায় করে নেয়। কিন্তু ওয়ারজাবাল বক্সের ভিতরে ফাঁকায় লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। দুই মিনিট পর তোরেসের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ইতালি ফাঁকে ফাঁকে আক্রমণে উঠার চেষ্টা করেছে। ২১ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলকিপার উনাই সিমন পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসলেও ইতালির কেউ ফাঁকা পোস্ট পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।
চার মিনিট পর স্পেনের ওলমোর শট গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। ৩২ মিনিটে ওলমোর আরও একটি প্রচেষ্টা ক্রস বারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। বিরতির পর স্পেনের আক্রমণে তেজ বাড়ে। তবে প্রথম গোল পেয়েছে ১৯৬৮ চ্যাম্পিয়নরাই। স্পেনের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে রক্ষণ জমাট রেখে গোল পেয়েছে মানচিনির দল।
৪৯ মিনিটে ওলমোর ক্রসে তোরেস বক্সের ভিতরে বল পেয়ে শট নেওয়ার আগেই ইতালির লরেন্জো ক্লিয়ার করেন। তিন মিনিট পর বক্সের বাইর থেকে বুসকেটসের শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে হতাশা আরও বাড়ে। রক্ষণ জমাট রেখে এই অর্ধে গোল করার জন্য সুযোগ খুঁজছিল আজ্জ্বুরিরা। ৫৩ মিনিটে চিয়েসার শট গোলকিপার সিমন শুয়ে পড়ে রক্ষা করেন। তবে ৬০ মিনিটে চিয়েসার শট আর রুখতে পারেননি।
ইতালি এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। ইমোবিলের পাসে বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বাঁকানো শটে গোল করে চিয়েসা সমর্থকদের মনে মুখে হাসি ফোঁটান। ধারার বিপরীতে গোল হজম করে স্পেন অবশ্য হতোদ্যম হয়নি। ১০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে। ৬৫ মিনিটে কোকে ছয় গজের মধ্যে থেকে হেড নিতে পারেননি। বদলি নেমে মোরাতা দলকে সমতায় ফেরান। অলমোর পাস থেকে জুভেন্টাসের এই স্ট্রাইকার সহজেই গোলকিপার দোনারুম্মাকে পরাস্ত করেন।
৯ বছর আগের ফাইনালে এই স্পেনের বিপক্ষেই ভরাডুবি হয়েছিল ইতালির। এবার তারা সেই স্পেনকে হারিয়েই উঠল ফাইনালে। টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত ছুটে চলা দলটি পারবে কি দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরা হতে?