প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১, ৮:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের হাট মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বাজারে জাতীয় ফল কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে একেবারে পানির দরে। ১৫ কেজির উপরে বড় সাইজের একটি কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। আর মাঝারি সাইজের কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫- ২০ টাকায়। ফলে দাম না পাওয়ায় এলাকার অনেকে কাঁঠাল ছাগল গরু দিয়ে খাওয়াচ্ছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর এ অঞ্চলে কাঁঠালের উৎপাদন মোটামুটি ভালো হলেও করোনার কারণে ক্রেতা নেই। বাজারে যোগানের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কাঁঠাল কিনতে চাচ্ছে না। এ কারণে কাঁঠালের দাম নেমে গিয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, জেলার মহেশপুর উপজেলা খালিশপুর বাজারে সপ্তাহে ২দিন কাঠালের হাট বসে। শুক্রবার ও সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে কাঁঠালের হাটে। দিনব্যাপী চলে কাঁঠাল বেচা-কেনা। এবার প্রতি হাটে এখান থেকে প্রায় ৬০-৭০ ট্রাক কাঁঠাল বিক্রি হত কিন্তু এবছর করোনার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসছে না। অন্যবার যেখানে বড় সাইজের একটি কাঁঠাল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হতো সেখানে এবার মাত্র ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মাঝারি সাইজের কাঁঠাল ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫-২০ টাকায়।
খালিশপুর কাঠালের হাটে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকশ স্যালোইঞ্জিন চালিত অটোরিকশা, নসিমস, করিমন ভরে কাঁঠাল আনা হয়েছে। কিন্তু দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাজারে কোন ক্রেতা বা কাঠাল ব্যবসায়ীকে দেখা যায়নি। খালিশপুর-মহেশপুর ও কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের দুধারে কাঁঠাল বিক্রির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
জেলা কৃষি অফিসে সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটি কাঁঠাল চাষের জন্য উপযোগী। উপজেরার প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় ৪/৫ টি কাঁঠাল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে আবার বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। কাঁঠাল গাছে তেমন পরিচর্যা করতে হয় না। জেলায় এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারীরা কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা খালিশপুর বাজার থেকে কাঁঠাল কিনে নিয়ে যায়।
বরিশাল থেকে আসা কাঁঠাল ব্যবসায়ী মানিক জানান, এবার করোনার কারণে ক্রেতারা বাজারে আসছে না তাই কাঁঠাল বেচা-কেনাও কম। তারপরও অনেক ঝুঁকি নিয়ে এক গাড়ি কাঁঠাল নিয়ে যাচ্ছি।
হাটের কয়েকজন কাঁঠাল ব্যবসায়ী ও কৃষক জানান, যদি এলাকায় সরকারিভাবে কাঠাল চাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কাঁঠাল সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা থাকতো তাহলে সারা বছর এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁঠাল সরবরাহ করা যেত।