প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১, ৭:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাজেটে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্ডেড ওয়্যার হাউস বা স্পেশাল বন্ডেড ওয়্যার হাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের ওপর সুতা ও কাপড়ের প্রচ্ছন্ন রপ্তানির বাধ্যবাধকতা আরোপ করায় বস্ত্রকলের মালিকেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা শর্তটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেছেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এটি প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করবে।
আগামী ২০২১–২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্প্রতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর নেতারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি ফজলুল হক, আবদুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক সৈয়দ নূরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ মোহাম্মদ জুবায়ের প্রমুখ।
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, ‘নিট ও ওভেন পোশাক রপ্তানিকারক অনেকেরই বন্ড লাইসেন্স নেই। তারা স্থানীয়ভাবে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে রপ্তানির জন্য দেশের বস্ত্রকল থেকে সুতা ও কাপড় সংগ্রহ করে। আমাদের জানামতে, নিট পোশাকের ৭০ শতাংশের বেশি কারখানা তাদের প্রয়োজনীয় সুতার ৮০ শতাংশের বেশি স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করে। এ কারণে তাদের কোনো বন্ড লাইসেন্স নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা রপ্তানিকারকদের কাছে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে শূন্য ভ্যাটে এবং প্রচলিত হারে ভ্যাট দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে সুতা ও কাপড় বিক্রি করে থাকি।’
মোহাম্মদ আলী আমদানি করা কাপড়ের ট্যারিফ ভ্যালু পুনর্নির্ধারণের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে কাপড় আমদানিতে ট্যারিফ ভ্যালু এখনই পরিবর্তন করা সম্ভব না হলে সম্পূরক শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ধার্য করার অনুরোধ করছি।’ এ ছাড়া বস্ত্র খাতে ব্যবহৃত সব ধরনের যন্ত্রাংশ ১ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমদানির সুযোগ দাবি করেন তিনি।
তৈরি পোশাক ও বস্ত্র রপ্তানির ওপর বর্তমানে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে উৎসে কর আরোপ করা আছে। বাজেটে উৎসে করে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। বিটিএমএ উৎসে কর আগের মতো দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে।
ভোরের পাতা/কে