ইসলামের জন্য শেখ হাসিনা যা করছেন তা অন্য কোনো রাষ্ট্রপ্রধান করেননি: অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১, ১০:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে বাংলাদেশে আমাদের ধর্মীয় অনুশীলন, ধর্ম লালন-পালন, ধর্ম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে এক অনন্য ঐতিহাসিক দিন। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার দেশব্যাপী মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে সম্পন্নভাবে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উন্নীত করেছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৬৬তম পর্বে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।
অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আজকে বাংলাদেশে আমাদের ধর্মীয় অনুশীলন, ধর্ম লালন-পালন, ধর্ম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে এক অনন্য ঐতিহাসিক দিন কারণ আওয়ামী লীগ সরকার দেশব্যাপী মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে যার মধ্যে সুসম্পন্নভাবে সারা দেশে আজ ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা গোটা বিশ্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যাবে আমরা অনেক সময় অন্যান্য দেশের অনেক আলেমরাই তাদের দেশের সঙ্গে ইসলামের নিদর্শনের তুলনা দিয়ে থাকে, কিন্তু এমন কোন দেশ নেই যে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে অথবা অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছে। এমন কোন দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও দেখতে পাইনি। আমাদের দেশ ইসলামিক দেশ নয় তারপরেও দেশের সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ধর্মের জন্য যে অনন্য দৃষ্টান্ত গড়েছেন তা বিরল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন খাঁটি মুসলমান। তিনি একদিকে যেমন অসাম্প্রদায়িক অন্যদিকে ধর্মকর্ম এমনভাবে পালন করছেন যারা অতীতে রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন তাদের চাইতেও বেশি। এটা সামাজিকভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। তিনিও তার সময়ে দেশীয়সহ আন্তর্জাতিক সব সভায় অনেক গর্ব করে বলতেন আমি একজন বাঙালি, একজন মানুষ ও একজন মুসলমান। আমি মুসলমান এই কথাটি সব সময় তিনি গর্ব করে বলতেন, কারণ ওইসময় ধর্মকে ইস্যু করে একটা অপরাজনীতি চালু ছিল। তাই তিনি সেসময় হিন্দুদের বলতেন তোমরা তোমাদের ধর্ম পালন করো, খ্রিস্টানদের বলতেন তোমরা তোমাদের ধর্ম পালন করো, বৌদ্ধদের বলতেন তোমরা তোমাদের ধর্ম পালন করো। সবাইকে তিনি সুযোগ দিতেন এবং উৎসাহ দিতেন যে যার ধর্ম আছে তা যেন তাদের রীতি মতো পালন করে। এই সুযোগটা বঙ্গবন্ধু তখন সৃষ্টি করে গিয়েছিলেন যা অন্য কোন রাষ্ট্রপ্রধান করতে পারেননি। তারা শুধু ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার পাঁয়তারা করেছে শুধু। এখনো পর্যন্ত আজকে অনেক ধর্মীয় দল আছে যাদেরকে আমি কটাক্ষ করছি না, কিন্তু তারা বর্তমানে ধর্মের না যা করছে তা ধর্মের পরিপন্থী। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম, ইসলাম ধর্ম ঐক্যের ধর্ম। তারা যা করছে এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ এবং রাজনৈতিক কু-উদ্দেশে এ অপপ্রচারগুলো করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। স্বাধীন দেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ নির্মূলের সাফল্যও তার সরকারের বড় অবদান।