শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫    মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির    মৎস খাতে বাংলাদেশকে ১৭২ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে জাপান     আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হলেন আম্পায়ার সৈকত    জেনে নিন আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস    শুক্রবার নাগাদ আসতে পারে ভারতের পেঁয়াজ    বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
অনন্য মাইলফলক অর্জন করেছে ভোরের পাতা সংলাপ
#দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে সুদূরপ্রসারী সংযোগ সৃষ্টি করেছে ভোরের পাতা সংলাপ: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #অসম্ভব কাজকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান: কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন। #একজন অলরাউন্ডারের ভূমিকায় নেমেছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান: রকিবুল হাসান। #ভোরের পাতা সংলাপ আমাদের মধ্যে একটি বন্ধন সৃষ্টি করেছে: ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। #অশুভশক্তি রুখার জন্য ভোরের পাতা সংলাপ প্লাটফর্ম সৃষ্টি করেছে: ড. নূর রহমান। #দেশে-বিদেশে স্বাধীনতার সপক্ষের লোকদের একত্রিত করেছে ভোরের পাতা সংলাপ: ইঞ্জি. হাসনাত মিয়া। #আমাদের একজন শেখ হাসিনা দিয়েই বিশ্ব জয় করেছি: ড. কাজী এরতেজা হাসান।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১, ১:১৬ এএম আপডেট: ১০.০৬.২০২১ ২:০৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ

আজকে ৩৬৫ দিন অতিক্রম ও পরিপূরণ করার যে সাফল্য, এই অতিমারির ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে প্রতিদিন আমরা যে যুক্ত হতে পেরেছি। দেশ-বিদেশের বহু মানুষজনের সঙ্গে বিশেষ করে প্রবাসে যারা বাংলাভাষী রয়েছেন তাদের সঙ্গে সুদূরপ্রসারী সংযোগ করার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেজন্য ভোরের পাতা সংলাপের জনক, এর আর্কিটেক্টর ড. কাজী এরতেজা হাসানকে অভিনন্দন। এই সংলাপের মাধ্যমে আমরা আমাদের মূল্যবান বক্তব্য দিয়ে সমাজ, জাতি, দেশের সর্বস্তরের মানুষকে যে সহযোগিতা করেছে ভোরের পাতা সংলাপের ৩৬৫তম পর্বের প্রত্যেকটি পর্ব। দেশের সব শিক্ষাবিদ, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণি-পেশার লোকজনকে নিয়ে এসে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেছেন। সে জিনিষগুলো লাইভের পরে রেকর্ড এবং দেশ ও দেশের বাইরে ভোরের পাতা সংলাপে সম্পৃক্ত হয়েছেন তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। পজিটিভ বাংলাদেশ তুলে ধরার জন্য ভোরের পাতার একটি বিরাট ভূমিকা ছিল এবং সামনেও থাকবে বলে দৃঢ়চিত্রে বিশ্বাস করি। 

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৬৫তম পর্বে বুধবার (৯ জুন) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, এম এ (ইংরেজি), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন, স্বাধীন বাংলা জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম দলনেতা রকিবুল হাসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ঘানিম ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন (ব্রুনাই হালাল ফুডস), ব্রুনাইয়ের সিইও, ব্রুনাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা, অস্ট্রেলিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রনেতা ড. নূর রহমান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনারারি কনস্যুলেট, জার্মান দূতাবাস, ফর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, দৈনিক ভোরের পাতা, দ্য পিপলস টাইম পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আজকে প্রথম বারের মতো এই ভোরের পাতা সংলাপের জনক, এর আর্কিটেক্টর ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপিকে এই লাইভ প্রোগ্রামে একসঙ্গে পেয়ে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভোরের পাতা সংলাপ আজকে ৩৬৫ দিন অতিক্রম ও পরিপূরণ করার যে সাফল্য, এই অতিমারির ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে প্রতিদিন আমরা যে যুক্ত হতে পেরেছি দেশ-বিদেশের বহু মানুষজনের সঙ্গে বিশেষ করে প্রবাসে যারা বাংলাভাষী রয়েছেন তাদের সঙ্গে সুদূরপ্রসারী সংযোগ করার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেজন্য তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা একটা মাইলফলক অর্জন, এই ধরনের মাইলফলক অর্জন করা কিন্তু কম ব্যাপার নয়। আমরা অনেক সময় অনেক উদ্যোগ হাতে নেই, কিন্তু অনেক সময় এটা ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে পারি না, সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানো, এটা অনেক সময় পথভ্রষ্ট হই আমরা। এ কারণেও আমি ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষ ও এর কর্ণধার এরতেজা ভাইকে শুভাশিস জানাই, অভিনন্দন জানাই ও সাধুবাদ জানাই। আমরা একটা পরিবারের মতো কারণ এই এক বছর ধরে আমরা যারা এই সংলাপে ঘুরে ফিরে আলাপচারিতা করেছি, মনঃসংযোগ করেছি বিশ্বের প্রসঙ্গ থেকে শুরু করে একেবারে স্থানীয় পর্যায়ের সকল বিষয় নিয়ে এবং এই যে মিথষ্ক্রিয়া এটি আমাদেরকে ভিন্ন একটি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সমস্যা থাকবে এবং এই সমস্যা থেকে উত্তরণের একটা বড় সূত্র হচ্ছে আলাপচারিতা, অর্থাৎ সংলাপ। এই বিষয়ে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে ভোরের পাতা সংলাপ। এইজন্য আমি ভোরের পাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন বলেন, আজকে আপনাদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করছি। আজকে আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত আছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব¡, ভোরের পাতা সংলাপের কর্ণধার, ভোরের পাতা ও ডেইলি পিপলস টাইমের সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসান, যার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক আছে, যাকে আমি অনুসরণ করি। অসম্ভবকে সম্ভব করার নাম হচ্ছে বীরত্ব, মনের দুর্বলতা মানুষকে করে ভীতু ও কাপুরুষ। মূলত তিনি এখন ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব, একজন সাংবাদিক, একজন রাজনীতিবিদ যিনি কিনা প্রতিদিন ভোরের পাতা লাইভ সংলাপের মাধ্যমে দেশ, জাতি, রাষ্ট্র ও সমাজের সকল সমস্যা ও পজিটিভ দিকগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। এইভাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতিনিয়ত এটা করে যাওয়া কিন্তু চারটে খানেক বিষয় নয় এবং এই কঠিন কাজটা যিনি করে আসছেন তিনি ড. কাজী এরতেজা হাসান, যাকে এই সংলাপে লাইভে দেখতে পাচ্ছি। তাই আপনাকে অত্যন্ত ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই জন্য যে সবচেয়ে কঠিন ও অসম্ভব কাজকে সম্ভব করার জন্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দৈনিক ভোরের পাতা সংলাপের ১ বছর পূর্তিতে সমগ্র উপস্থাপক, আলোচক, পাঠক, শ্রোতা, দর্শক ও দেশ-বিদেশে যে যেখান থেকে আমাদের এই বন্ধনে যুক্ত হয়েছেন সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই সংলাপের মাধ্যমে আমরা আমাদের মূল্যবান বক্তব্য দিয়ে আমাদের সমাজ, জাতি, দেশের সর্বস্তরের মানুষকে যে সহযোগিতা করেছে এই ভোরের পাতা সংলাপের ৩৬৫তম পর্বের প্রত্যেকটি পর্ব। তাই আমি আবারও এই অসম্ভব কাজটিকে সম্ভব করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষ ও এর কর্ণধার ড. কাজী এরতেজা হাসানকে। 

রকিবুল হাসান বলেন, আজকের এই দিনে আমি প্রথমেই স্মরণ করতে চাই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং একই সঙ্গে শ্রদ্ধার সঙ্গে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এই দুজনকে আমি প্রথমে স্মরণ করছি এই জন্য যে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমাদের দেশটা এসেছে এবং বাংলাদেশে এসেছে বলেই তাঁর হাত ধরে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশটার প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। আজকে এই প্রোগ্রামটার নামকরণ করা হয়েছে বন্ধন। বন্ধন কথাটা একটি আপেক্ষিক শব্দ। এখানে বন্ধন কথাটা কিসের? আজকে এই ভোরের পাতা সংলাপের ৩৬৫তম পর্বের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ রয়েছেন- বিশেষ করে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, ডাক্তার, উকিলসহ আরও অনেককেই এভাবে ধারাবাহিকভাবে নিয়ে এসেছে আমাদের জনগণের কাছে, দর্শকদের কাছে, যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আমি এটাকে একটা বড় অর্জন বলে মনে করবো। আর এই অর্জনটাই হচ্ছে মূলত বন্ধন। একইসঙ্গে আমি বলবো এখন যে সময়ে মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবী যাচ্ছে সে সময়ে এই প্রোগ্রামে বড় বড় ডাক্তারকে এই প্রোগ্রামে এনে আমাদের দর্শকদেরকে এই করোনা মহামারির মধ্যে যেভাবে সবাইকে করোনা সম্বন্ধে বিশেষ দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেজন্য আমি ড. কাজী এরতেজা হাসানকে সাধুবাদ জানাই ও স্যালুট জানাই ভোরের পাতাকে। এখানে আমি একটি কথা আরও বলতে চাচ্ছি যে, আমাদের সবার প্রিয় ড. কাজী এরতেজা হাসান একজন অলরাউন্ডার। আমি ক্রিকেট খেলি, আমাদের ক্রিকেটে সব থেকে বড় অলরাউন্ডার হচ্ছে আমাদের সাকিব আল হাসান। ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং, সব কিছুই করে। ঠিক এইরকমভাবে আমাদের কাজী এরতেজা হাসান অলরাউন্ডারের ভূমিকায় নেমেছেন। একধারে উনি একজন রাজনীতিবিদ, একইসঙ্গে উনি একটি বিরাট বিজনেস ফোরামের ডাইরেক্টর, একই সঙ্গে উনি সাংবাদিকতায় একজন বিশাল দিকপাল এবং সবচেয়ে বড় কথা এসকল বিষয়গুলোকে উনি নিজে ধারণ করে আমাদের সামনে এই ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে তুলে এনেছেন।



অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে এই জন্য যে, আজকে এমন একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনারা একটি মাইলফলক অতিক্রম করতে যাচ্ছেন এবং সে সঙ্গে আমাকে সংযুক্ত করার জন্য। আমি অভিনন্দন জানাতে চাচ্ছি ড. কাজী এরতেজা হাসান ভাইকে, নিঃসন্দেহে তিনি একটি বড় ভূমিকা পালন করেছেন এই মাইলফলক অতিক্রম করার ক্ষেত্রে। আজকের টপিকটা আমার কাছে সব থেকে উইনিক মনে হয়েছে। একটা বড় সাফল্যের জন্য বন্ধনের কোন বিকল্প নেই। সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ এবং এই জিনিষটি সবচেয়ে ভালো বুঝেছেন তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ২৪ বছরের পথচলায় তিনি যে আওয়ামী লীগকে একাই হেঁটে চলেছেন, এটা কিন্তু তিনি কখনোই করেননি। তিনি সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলেছেন। তিনি বাঙালি জাতিকে একটি মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন বলেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। আমরা যদি আজকের প্রেক্ষাপটের দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারবো এই কোভিড মুহূর্তে বন্ধনের গুরুত্ব কত বেশি। এখন আমরা সবাই যেভাবে কাছে থেকেও দূরে কিংবা দূরে থেকেও কাছে যেভাবেই বলি না কেন, এইসময় আমাদের বন্ধনটা কিন্তু খুবই জরুরি। একই সঙ্গে আমাদের মাথায় রাখতে হবে, আমরা এখনো একটা বড় অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করে যাচ্ছি, যারা প্রতিনিয়ত দেশে ও বিদেশে বসে তাদের অশুভ শক্তির পাঁয়তারা দেখাচ্ছে। সেখানেও কিন্তু আমরা একটা বন্ধনের মধ্যে আছি। আজকে এই প্রোগ্রামে যারা উপস্থিত আছেন তাদের সবাই যে যে পেশায় সংযুক্ত আছেন আমাদের সবাইকেই লাগবে। এখন এই করোনা মুহূর্তে আমরা তো সবাই একত্রিত হতে পারছি না, তাই এই সুযোগটাকে কাজে লাগাচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তির লোকেরা। এখন এই অপশক্তিকে যদি আমাদের মোকাবিলা করতে হয় সেজন্য আমাদের সামনে একটি উপায় আছে, সেটা হচ্ছে বন্ধন। তাই এই বন্ধনটাকে জোরালো করতে হলে এই ভোরের পাতা সংলাপের মতো অনুষ্ঠানকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। কারণ এই অনুষ্ঠানের ভূমিকা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি আজকে এই প্রোগ্রামের গত এক বছরের একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টারটি দেখেছি এবং এটি একটি সমৃদ্ধশালী লিস্ট। এই এক বছরে নিরবচ্ছিন্ন প্রেসারের পরেও একটি বন্ধন ধরে রাখতে পেরেছেন। সামনে আমাদের যখন আবারও অপশক্তির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হবে, তখন এই বন্ধন আমাদের শক্তি ও সাহস যোগাবে। 

ড. নূর রহমান বলেন,  আজকে খুব ভালো লাগছে যে ভোরের পাতা সংলাপের যিনি নির্দেশক, যিনি চালিকাশক্তি, যিনি নেপথ্যে থেকে যিনি সব শক্তি যোগাচ্ছেন তাকে আজকে লাইভে দেখছি। নরমালি আমরা তার ছবি পোস্টার বা লাইভের এক কোনায় দেখি। আজকে উনার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আজকের বিষয় বন্ধন, যে বন্ধনের একটি কমন জায়গা আছে। এই বন্ধনের কমন জায়গাটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী শক্তি ও সপক্ষের বন্ধন। আমরা যদি দেখি ১৯৪৭ সাল থেকে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বন্ধন সৃষ্টি করে আমাদেরকে একত্রে করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকে নিয়ে গেছেন এবং এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। সে জায়গাটাতে যেমন বন্ধন দরকার ছিল এবং সেটা শক্ত করতে পেরেছিলেন ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক, আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ একজন কর্মী ড. কাজী এরতেজা হাসান সাহেব এই কাজটি করে যাচ্ছেন। আমি বলবো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সঠিক সৈনিক তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে সেই উন্নয়নের কথা বলার জন্য একটা প্লাটফর্ম প্রয়োজন ছিল। কারণ আমরা দেখি এই উন্নয়নের মাঝেও দেশে এবং বিদেশে বসে কিছু ষড়যন্ত্রকারীরা ওত পেতে বসে আছে এই উন্নয়নকে মøান করে দেওয়ার জন্য। একটা অপপ্রচার তারা করেই যাচ্ছে। সে অপপ্রচারটা রুখতে হলে বা সেটার কাউন্টার জানানোর জন্য একটা প্লাটফর্ম দরকার। সেজন্য আমি ড. কাজী এরতেজা হাসানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই জন্য যে, আপনি প্লাটফর্মটা সৃষ্টি করেছেন। আপনি দেশের সব শিক্ষাবিদ, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণি-পেশার লোকজনকে নিয়ে এসে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেছেন সে জিনিষগুলো লাইভের পরে রেকর্ডেড এবং দেশে এবং দেশের বাইরে ভোরের পাতা সংলাপে সম্পৃক্ত হয়েছেন তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। অনেক সময় আমি এই লাইভে সংযুক্ত হতে পেরে অনেক কিছু শিখেছি। আমার নিজস্ব জ্ঞানের পরিধি এই ভোরের পাতা সংলাপে এসে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমি মনে করি। আজকে এই সুসময়ে যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে এই বন্ধনটি আমাদের ভবিষ্যতে যদি দুঃসময় আসে সে সময় এটি অনেক কাজে আসবে। 

ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া বলেন, আমি খুবই আনন্দিত যে, এই ভোরের পাতা সংলাপের প্রথম দিক থেকেই এর সঙ্গে সংযুক্ত আছি। এই বন্ধনটা আমি মনে করি, আমাদের দেশে-বিদেশে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির লোকেরা যারা আছি তাদেরকে একত্র করা। এই যে একত্র করে মনের কথা বলার জন্য আমরা যতই ব্যস্ত থাকি না কেন আমরা সংযুক্ত হয়েছি এবং হচ্ছি। ভোরের পাতা সংলাপ তার কোয়ালিটি মেইন্টেইন করে এমন একটি জায়গায় এসে গিয়েছে যে এটা একটা ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এই সংলাপের সঞ্চালক নাসির ভাই যেভাবে এতো সুন্দর ও শুদ্ধ করে বাঙলা বলেন আমি নিজেও এভাবে বলেতে পারি না। ভোরের পাতার যিনি সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসান যে উদ্যোগটা নিয়েছেন অন্য কোন পত্রপত্রিকা কিন্তু এই উদ্যোগ নেয়নি। কারণ তারা মুনাফার কথা চিন্তা করেছে। এই পেন্ডামিক আমাদের একটা কথাই শিখিয়েছে যে, আপনি যদি সমাজ তথা রাষ্ট্রকে রক্ষা না করেন, তাহলে আপনি একটা কিছু করতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ করেছে, ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে ৬ দফা এরপর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭২ সালের পর কিন্তু আমরা একটা বিরাট অন্ধকার দেখেছি। আমি নিজেও এই ভোরের পাতা সংলাপ পরিবারের একজন সদস্য হয়ে গিয়েছি। আমি এরতেজা ভাইকে প্রত্যেকবার বলতাম স্বাধীনতার সপক্ষের লোকেরা যদি এই প্রোগ্রামে থাকে তাহলে আমাকে পাবেন, না হলে পাবেন না। এই কথাটা বলার সাহস এই জন্য পেয়েছি যে, এই বন্ধনটা স্বাধীনতার, সাম্যের ও ধর্মনিরপেক্ষতার এবং আমরা আমাদের মনের কথা বলবো। পজিটিভ বাংলাদেশ তুলে ধরার জন্য ভোরের পাতার একটি বিরাট ভূমিকা ছিল এবং সামনেও থাকবে বলে আমি দৃঢ়চিত্রে বিশ্বাস করি।

ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, আসসালামুু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু। শুরু করছি আল্লাহ্র নামে। আসলে আজকের দিনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ  আমার জন্য আমাদের জন্য। আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছি আজকের সংলাপের বিষয়টার নাম ‘বন্ধন’ রাখতে গিয়ে। আমি মনে করেছিলাম যে, অনেকেই বুঝবেনা এই বন্ধন নামটা কেন রাখা হয়েছে। কিন্তু গত এক বছরে আমাদের এই প্রোগ্রামে যারা অতিথি হয়ে সংযুক্ত হয়েছেন এবং সারা বিশ্বের দূর-দূরান্ত থেকে এছাড়া দেশের মধ্যে যারা আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন, আজকের প্রোগ্রামে যারা এসেছেন তারাই বুঝে গিয়েছেন যে এই বন্ধন নামটা কেন রাখা হয়েছে। এই বন্ধনটা হচ্ছে আদর্শিক বন্ধন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির বন্ধন, আত্মার সঙ্গে আত্মার বন্ধন, হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের বন্ধন। এই বন্ধন এমন হবে যে, হাসনাত ভাই বিদেশে বসে যদি অসুস্থ হয়ে কষ্টটা পায়, সে কষ্টটা যাতে আমি বাংলাদেশে বসে অনুভব করতে পারি। আসলে আমি ওই বন্ধনটা বুঝাতে চেয়েছি। এই বন্ধনটা দুনিয়াতেও কাজে লাগবে আখিরাতেও কাজে লাগবে। স্বপ্নীল ভাই যখন তার বক্তব্যে বন্ধনের বিষয়টা এমন ভাবে তুলে ধরেছিলেন, যেমনটা বলেছিলেন নূর ভাই, হাসনাত ভাই, শরীফ মামা, রকিব মামা এবং নাসির ভাই, তখন আমি আমার অশ্রু সামলে রাখতে পারছিলাম না। ছোট বেলা থেকে নামাজ পড়িতো তাই মনটা একটু নরম আমার। ৭ মার্চের ভাষণ, ৯ মাসে দেশ স্বাধীন, লাল-সবুজের পতাকা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে বাংলাদেশ দিয়ে গিয়েছিলেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের দায়িত্ব এটা যে, এই লাল সবুজের পতাকাকে আঁকড়ে ধরা, দেশের উন্নয়নে নিজেকে সামিল করা। আমাদের যে শক্তি, আমাদের যে সাহস, আমাদের যে স্পৃহা, সেটা আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে, বাবা-মায়ের দোয়া থেকে এসেছে। তাই আমরা জানি কখন কোথায় কি বলতে হবে। আল্লাহ্ সুবানহু তায়ালার পর আমাদের আশ্রয়স্থল আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। উনি জানেন আমাদের সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপের যে কয়টা পত্রিকা আছে ভোরের পাতা, দ্য পিপলস টাইম, মর্নিং মিরর, বণিক বাংলাদেশ, অর্থপাতা এবং আমাদের ভোরের পাতা সংলাপ। ১৭ বছর ধরে আমাদের এই মিডিয়াটা চলছে। আমার একটি সন্তান। ও হাফেজে কোরআন এবং এ লেভেল শেষ করেছে। ওর বয়সও ১৭ বছর। ও যেদিন দুনিয়াতে আসে তার সাতদিন পরেই আমি এই পত্রিকার ডিক্লারেশন পাই। এটার সঙ্গে আমাদের আবেগ, স্পন্দন জড়িত। রকিব মামা একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছেন যে, ২০১৬ সালে বিপিএলে রংপুর রাইডারস আমার ছিল এবং ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু বিপিএল হয়েছিল তখন সিলেট থার্ন্ডাসের দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটার চিফ পেট্রোনাইজার ছিলাম আমি। আমার বাবা আজ থেকে ১ বছর হলো আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে এবং এই লাইভ সংলাপটারও এক বছর হলো। এই লাইভটার প্লান আমাকে যিনি দিয়েছিলেন উনার পেশাগত কারণে তার নামটা এখানে বলতে চাচ্ছি না। নিশ্চয় উনি এটা শুনছেন, ধন্যবাদ আপনাকে। একদিন গভীর রাতে তাহাজ্জুতের পরে উনি আমাকে কল করে এই প্লানটা দিয়েছিলেন। উনি আমার অনেক কাছের ভাই, যার কাছ থেকে সবসময় আমার এই মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নিয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকি। এ জন্য তাকে সালাম জানাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমি সশস্ত্র সালাম ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এই জন্য যে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল এবং ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে গণভবনে গিয়েছিলাম প্যালেসটাইনের আল আকসা মসজিদের মুফতি মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহকে নিয়ে। সে সময় আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটা বই লিখেছিলাম ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মচিন্তা’। তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে ছিলেন। উনি যখন ঢাকায় আসলেন এবং যখন তার দেখা পেলাম তখন তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, মাত্র তিনি ঘুম থেকে উঠে এসেছেন। অনেকক্ষণ কথা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। তখন উনি আমাকে বলেছিল, তুমি কি জানো আমরা কি পরিমাণে ফিলিস্তিনকে সহযোগিতা করি। তখন আমি একটা ফিগারের উত্তর দিয়েছিলাম। তখন তিনি হেসে দিয়ে বলল, তুমি এক্সাটলি এই ফিগারটি কিভাবে বললে। আমি বলেছি, আমিতো আপনারই শিষ্য। তখন আমি তাকে বইটি দিলাম। তিনি বইটি হাতে নিয়ে আমাকে বলল, তুমি এতো সুন্দর করে এই বইটির প্রচ্ছদ করেছো। তখন তিনি একজনকে বলল, এই বইটা আমার মাথার কাছে রাখবা, এটা আমি দুইদিনে শেষ করবো। তখন আমি তাকে বললাম, প্রধানমন্ত্রী আপনার সঙ্গে তো আমি ১০/১২ বার রাষ্ট্রীয়ও সফর করেছি, আপনার ধর্মভিরুতা দেখেছি, আপনার ইবাদত দেখেছি, আপনার একনিষ্ঠটা দেখেছি। উনার নেক আমল, উনার কর্মশক্তি, উনার সুদূরপ্রসারি চিন্তাভাবনা, উনার কর্মদক্ষতা, প্রাণচঞ্চলতা এবং সবাইকে কমিউনিকেট করা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা হওয়ার কারণেই কিন্তু এই কমিনিউকেশন তিনি রাখতে পেরেছেন। ৭৫ বছর বয়সে তিনি যেভাবে কাজ করছেন সেটা আসলেই আশ্চর্যজনক। আমি গণভবনে তখন তাকে এই কথাটিই বলেছিলাম যে, আপা আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তাদেরকে তো অন্যরা বলে যে আমরা ভারতের দিকে ঘেঁষা, আমরা নামাজ পড়ি না। কিন্তু তারা জানেনা যে আপনার কিছু সারগেদ আছে যারা তাহাজ্জুত নামাজ পড়ে, পাগড়ী মাথায় দেয়, তাদের ছেলেরা হাফেজ হয়, তাদের বিবাহিত স্ত্রীরা পর্দায় থাকে। তখন তিনি এটা শুনে হেসে বললো, কি বলেতে চাও খুলে বলো। তখন আমি তাকে বললাম, আপনার বাবা কাকরাইল মসজিদ দিয়েছে, আপনি টঙ্গি ইজতেমার ময়দান দিয়েছেন। আপনি এখন এমন একটা কিছু করে যান আমাদের জন্য যেটা মানুষ সারা জীবন মনে রাখে। মূলত এই কনসেপ্টটা আমার, আমি বলেছিলাম সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করেন, যেখানে ইমাম সিজদাহ দিবে, মুয়াজ্জেন আল্লাহু আকবর বলে আজান দিবে, তখন যাতে তাদের মাথায় থাকে এটা যেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা তৈরি করে দিয়েছেন। তখন তিনি কিছুই বলেননি। কিন্তু অনেকদিন পরে যখন শুনলাম যে এটা উনি বাস্তবায়ন করেছেন এবং এটাই হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজ ভোরের পাতা লাইভ টকশো, এটা আমাদের যুদ্ধ। তাদের বিরুদ্ধে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে এবং আমাদের বন্ধু যারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির সঙ্গে আছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  ভোরের পাতা সংলাপ  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]