এদিকে তিউনিসিয়ার রেডক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে রওনা হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেবার সময় অন্তত ৫৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ডুবে গেছে।
রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মঞ্জি স্লেম জানান, ৩৩জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যারা সবাই বাংলাদেশি। এই নৌকাটি ৯০ জনের মতো যাত্রী বহন করছিল বলে জানান তিনি।
তিউনিসিয়ার বার্তা সংস্থা টিএপি জানিয়েছে, সোমবার তিউনিসিয়ার উপকূলে আরেকটি নৌকা যখন ডুবে যাচ্ছিল, তখন নৌবাহিনী ১১৩ জনকে উদ্ধার করেছে। তারা সবাই বাংলাদেশ, মরক্কো এবং সাব-সাহারা আফ্রিকার অধিবাসী।
অবৈধভাবে যারা ইউরোপে ঢুকতে চায়, তাদের জন্য সুবিধাজনক জায়গা হচ্ছে লিবিয়া। বাংলাদেশ থেকে অনেকে নানা উপায়ে লিবিয়া পৌঁছে। এরপর নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অনেকে ইটালি পৌঁছেছে। পাশাপাশি সাগরে ডুবে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।
২০১৯ সালের মে মাসে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাবার পথে সাগরে ডুবে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ৪০ বাংলাদেশি।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাবার পথে সাগরে ডুবে মৃত্যু ঘটনা থামছেই না। অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকাতে সাগরে নজরদারি বাড়ালেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকে সাগর পাড়ি দিচ্ছেন।
আইওএম-এর হিসেবে ২০২১ সালের পাঁচ মাসে আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি এবং মল্টা যাবার পথে সাগরে ডুবে ৫০০'র বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
ভোরের পাতা/ই