ডিপোর একটি স্থানে ট্রেনটি থামানো হলে সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ট্রেনটির ভেতরে ঘুরে দেখেন।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। আরেক সেট ট্রেন মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
সেতুমন্ত্রী জানান, প্রথম ট্রেনটি আগস্ট মাসে ডিপোর বাইরে উড়ালপথে তোলা হবে। সেখানে প্রথমে পারফরম্যান্স টেস্ট, তারপর সমন্বিত পরীক্ষামূলক চলাচল, তারপর পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষামূলক চলাচল হবে।
ট্রেনটি বিদ্যুৎ দিয়ে কীভাবে চলেছে- এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে রেললাইনে ট্রেন চলেছে তার ওপর বিদ্যুতের তার আছে। সেটির সঙ্গে সংযোগ করা হয় ট্রেনটির।
ট্রেনটি চালিয়ে বাইরে আধঘণ্টা রেখে আবার ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রেনটি ওয়ার্কশপ থেকে বের হলে সবাই হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।
গত ২১ এপ্রিল ছয় কোচ বিশিষ্ট প্রথম সেট নদী পথে উত্তরার দিয়াবাড়ি ডিপোর নবনির্মিত ডিএমটিসিএল জেটিতে পৌঁছে। ২২ এপ্রিল তিনটি বগি স্থানান্তর করা হয়। পরদিন বাকি তিন বগির স্থানান্তর হয়।
এদিকে মোংলা বন্দরে খালাস শুরু হয়েছে জাপানের কোবে বন্দর থেকে আসা মেট্রোরেলের দ্বিতীয় চালান। ৪৮টি প্যাকেজে করে আসা এই চালানেও মেট্রোরেলের কারের ছয়টি বগি রয়েছে।
ভোরের পাতা/ই