টাঙ্গাইল নাগরপুর এ রমজানে ইফতারে বাঙ্গির চাহিদা বেড়েছে। গরমে বাঙ্গি খেলে শরীর ঠান্ডা হয় বলে রোজাদারদের পছন্দের খাবার হয়ে উঠেছে এ ফলটি। এছাড়া বাঙ্গিতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। রমজানে সতেজতা আনতে এ ফলের জুড়ি নেই।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) উপজেলার বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি পিস দেশি বড় বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। মাঝারি সাইজের বাঙ্গির দাম ৬০-৭০ টাকা পিস। আর বাঙ্গির মতো দেখতে চীনাল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পিস।
শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে এবার ইফতারে বাইরের ভাজাপোড়া খাচ্ছি না, ঘরেই করছি। আলুর চপ, বেগুনি ঘরে বানাচ্ছে। এবার শসা, তরমুজ ও কলার পাশাপাশি বাঙ্গি কিনছি ইফতারের জন্য। এবার অতিরিক্ত গরম পড়ছে।
আরেক জন ক্রেতা মো. মামুন মিয়া বলেন, বাঙ্গি খুবই স্বাস্থ্যকর ফল। এটা খেলে শরীর-স্বাস্থ্যের উপকার হবে। আর ভাজাপোড়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই সারাদিন রোজা রাখার পর ভাজাপোড়া কম খাওয়া ভালো। তাই বাঙ্গি কিনতে আসছি বাজারে।
রিক্সাস্ট্যান্ডে বাঙ্গি বিক্রেতা মো. লুৎফর রহমান বলেন, বাঙ্গি মৌসুমি ফল। এবাবের রমজানে প্রতিদিনই এক থেকে দেড়শ বাঙ্গি বিক্রি করছি। বাঙ্গি আগে কখনও এত বিক্রি হতো না। আমার দোকানের বাঙ্গি যে একবার খায়, পরের দিন আরেকবার নিয়া যায়। কোনো কথা বলা দরকার হয় না।
নাগরপুর বাজারে বাঙ্গি, আনারস ও বেল বিক্রেতা মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি রোজার আগে থেকেই ফলগুলো বিক্রি করি। রোজার শুরুর দিন থেকে আমার দোকানে বাঙ্গি ও বেল বেশি বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা রোকুনুজ্জামান বলেন, উচ্চরক্তচাপ কমাতে, চোখের জ্যোতী বাড়াতে, ওজন কমাতে, গর্ভবতী মায়ের জন্য, সুন্দর ঘুমের জন্য, আলসার এর চিকিৎসায়, কিডনি এর পাথর প্রতিরোধে, ক্যান্সার এর ঝুকি কমাতে, হৃদরোগের ঝুকি কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ধুমপান ছাড়তে, কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে পাড়ে এ বাঙ্গি। তাই এ গরমে বেশি করে বাঙ্গি খেতে হবে।
ভোরের পাতা/পি