সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন খাবার বিতরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন । দানের ভিডিওকে লোক দেখানো বলে সমালোচনা করছেন তারই ভক্তরা।
বুধবার (২১ এপ্রিল) একটি হাসপাতালে খাবার বিতরণ করেন সুমন। হাসপাতালে সেই খাবার বিতরণের ভিডিও বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেজে পোস্ট দেন তিনি। এরপরই ফেসবুকে তার অনুসারীরা তীর্যক মন্তব্য শুরু করেন। ওই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কয়েক হাজার মন্তব্য পড়ে। যার বেশিরভাগই নেতিবাচক।
গোলাম সাব্বির নামে এক আইডি থেকে লেখা হয়, ‘নবীজী বলেছেন ডান হাতে দান করলে যেন বাম হাত না জানে। আপনি আছেন লাইট, ক্যামেরা অ্যান্ড অ্যাকশন নিয়ে।’
শেখ মোহাম্মাদ সোহাগনুর লেখেন, ‘এগুলো লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়।’
সৈয়দা ইয়াসমিন লেখেন, ‘আপনার প্রত্যেকটা কাজ প্রত্যেকটা দান আপনি ভিডিও করে সমাজের ছড়িয়ে দেন। এটাই বা কতটুকু গ্রহণযোগ্য ইসলামে। এভাবে দান করে নাকি কেউ।’
মো. ইকবাল মাহমুদ লেখেন, ‘তা আবার ভিডিও করে দেখানো লাগে? আল্লাহ কি দেখেন না? নাকি এসব ফেসবুকে না দিলে মহান সৃষ্টিকর্তা দান খয়রাত কবুল করবেন না? মানুষ আর বোকা নাই, মানুষ সব বোঝে।’
ইএইচ কুকান নামের আইডি থেকে একজন মন্তব্য করেন, ‘ব্যারিস্টার সাহেব, লোক দেখানো ইবাদতে আল্লাহ খুশি হন না। আপনার দানকে ধান্ধায় রূপায়িত করবেন না প্লিজ। ব্রিজ কালভার্ট বানিয়ে অনুষ্ঠান করুন-- বাহবা পাবেন, ফুটবল টিম গড়ে ক্রীড়াঙ্গনে ভূমিকা রাখুন বাহবা পাবেন---বাট, দান করুন ডান হাতে যেন বাম হাতে টের না পায়।’
হিমেল হোসেন হিমু লেখেন, ‘ক্যামেরা চালু করে দান করা কোত্থেকে শিখছেন? মিয়া কোটি টাকার গাড়ি কিনে লাইভ নাটক বাদ দেন। মানুষের জন্য পারলে নীরবে কিছু করেন।’
এইচএম ইকবাল মাহমুদ লেখেন, ‘আপনার আসল রূপ দেশবাসী জানে। একটা সময় আপনাকে মন থেকে ভালোবাসতাম। পরে দেখি খুব তেলবাজ। যাই হোক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হলে ভালো।’
আজিজুল হক লেখেন, ‘এরে ভালো মনে করতাম, এখন মনে করি সবটাই দালালি আর নিজেকে ফোকাস আর লোক দেখানোর জন্য করে।’
শাহের জাহান নামে এক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘রমজানের দিন মানুষকে সাহায্য করতেছেন, তাও আবার ভিডিও করে, মানুষগুলোর চেহারা দেখায়ে দেখায়ে। অসুস্থ কয়েকজন মানুষ বিছানায় শুয়ে আছে আর আপনি নিজের ফেইম প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কষ্ট করে উঠে বসতে বাধ্য করলেন। কেন? প্রত্যেকের শয্যার পাশে একটা করে প্যাকেট রেখে দিলে আর ভিডিও না করলে কী হত? এসব ধান্দাবাজি কি আপনি একাই বুঝেন?’
রহমত আশিক লেখেন, ‘এটা রবের সন্তুষ্টির জন্য নাকি পাব্লিসিটি?’
এনবি অর্নব লেখেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল আপনার মতো তেলবাজরে আমি ভালো মানুষ ভাবছিলাম।’
এর আগেও সুমন তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন।
ভোরের পাতা/পি