করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে দেশে দেশে চলছে টিকাদান। কিন্ত এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ কোটি ১৩ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ ২৩ হাজার। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১ কোটি ৯৯ লাখের বেশি মানুষ।
করোনা সংক্রমণের তথ্য সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ১৩ লাখ ৬ হাজার ৫৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ২৩ হাজার ৮৭৪ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৬১৫ জন।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬৩১ জনের প্রাণ নিয়েছে এই মহামারি। এছাড়া সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার ৪২৩ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৪৯ লাখ ২ হাজার ৫৮৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ভারত। এশিয়ার মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশটি। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার ৪৬১ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৬৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার ৭৯১ জন।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৯ লাখ ১৩৪ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬১ জন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের তালিকায় চারে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৬০ হাজার ১৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ লাখ ৫৯৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮১ হাজার ২০৩ জন।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম। এখন পর্যন্ত দেশে ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২৮৩ জনের। সেরে উঠেছেন ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এরপর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ভোরের পাতা/ই