সরেজমিনে দেখা যায়, অন্য দুই দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকেই রাস্তায় গাড়ির চাপ অনেকটা কম। খুব জরুরি কাজে বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাসা থেকে বের হয়েছেন কয়েকজন। গত দুই দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় প্রাইভেট কার ও রিকশার সংখ্যাও তুলনামূলক অনেক কম।
এদিকে রাস্তায় মানুষেরর চাপ কম থাকায় আজ চেকপোস্টেও তেমন ব্যস্ততা দেখা যায়নি। দুয়েকজন যাত্রী চেকপোস্ট দিয়ে মাঝে মধ্যে যাচ্ছেন, তাদের মুভমেন্ট পাস আছে কি না চেক করতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের।
এই মহাসড়কে পাশেই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ, উত্তর রায়েরবাগ, শনির আখড়া, জনতাবাগ, গোবিন্দপুর, কাজলা, দনিয়া এলাকা। এসব এলাকার ভেতরে চলাচল কিংবা স্বাস্থ্যবিধি পালনের ক্ষেত্রে তেমন কড়াকড়ি চোখে পড়েনি।
মহল্লার ভেতরের বেশিরভাগ দোকানপাটই খোলা দেখা গেছে। এলাকার রাস্তার পাশে অস্থায়ী এবং স্থায়ী কাঁচাবাজারগুলোতে ছিল লোকজনের ভিড়।
রিকশাচালক কামাল বলেন, গেলোত লকডাউনের দুই দিনে অনেকগুলো ভাড়া মারছি। তবে অলিগলির মধ্যে দিয়ে রিকশা চালাতে হয়েছে। আজকে তো সব বন্ধ। মানুষ নাই। রাস্তা ফাঁকা। আজকে তো বেশি ভাড়া মারতে পারবো না।
আরও এক রিকশাচালক বলেন, লকডাউনে আগের মতো করে ভাড়া মারতে পারেনি। পরিবার নিয়ে কেমন করে চলবো, জানি না।
মুদি দোকানি বাবুল মিয়া বলেন, বেচা-বিক্রি অনেক কম। বেশিরভাগ মানুষই দেশে চলে গেছে।
গত দুইদিনে দেখা গেছে, বিকেল হলেই মহল্লার ইফতারির খাদ্যপণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তখন স্বাস্থ্যবিধির বালাই থাকে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) শুরু হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
লকডাউন ঘোষণা করে গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ সময়ের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
ভোরের পাতা/কে