প্রকাশ: রোববার, ১৪ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
ম্যাচের প্রায় পুরো সময়টা আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপরও শেষ ওভারে জমে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যান্টিগার দ্বিতীয় ওয়ানডে। অবশ্য হতাশ হতে হয়নি স্বাগতিকদের। এভিন লুইসের সেঞ্চুরিতে গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শেষটা জয়ে রাঙিয়েছেন নিকোলাস পুরান। এই জয়ে এক ম্যাচের আগেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে ক্যারিবিয়ানদের। স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় ওয়ানডে ৫ উইকেটে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দানুশকা গুনাথিলাকার ৯৬ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭৩ রান করে শ্রীলঙ্কা। কঠিন লক্ষ্যে লুইসের সেঞ্চুরি ও শাই হোপের শতকের সম্ভাবনা জাগানো ইনিংসে ২ বল আগে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ বছর পর জিতলো টানা দুই ওয়ানডে (বিশ্বকাপের ম্যাচ বাদে)। ২০১৪ সালে ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ টানা দুই ম্যাচ জিতেছিল তারা।ওয়ানডে ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নবজাগরণও বলা যায়। টি-টোয়েন্টির পর ৫০ ওভারের সিরিজও জিতে নিয়েছে তারা। বিশেষ করে, দুই ওয়ানডেতেই আলো ছড়িয়েছেন তাদের দুই ওপেনার লুইস ও হোপ।
অ্যান্টিগার ম্যাচে তারা উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ১৯২ রান। যে কারণে ২৭৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়নি।টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো হোপ ৮৪ রানে আউট হলেও লুইস ভুল করেননি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূরণ করে খেলেছেন ১০৩ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই ব্যাটসম্যান ১২১ বলের ইনিংসটি সাজান ৮ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায়। তাদের বিদায়ের পর ড্যারেন ব্রাভো (১০) ও কাইরন পোলার্ড (১৫) সুবিধা করতে না পারলেও ওয়ান ডাউনে নামা পুরান জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন।
৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।শ্রীলঙ্কার দুই পেসার নুয়ান প্রদীপ ও থিসারা পেরেরা পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। আর ১ উইকেট শিকার লাকশান সান্দাকানের।এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মাঝে আলো ছড়িয়েছেন গুনাথিলাকা। তবে আফসোসে পুড়েছেন লঙ্কান ওপেনার। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন। ৯৬ বলে খেলা ৯৬ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ১০ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। তার সঙ্গে জ্বলে উঠেছিল দিনেশ চান্ডিমালের ব্যাট। এই উইকেটকিপার ৯৮ বলে খেলেন ৭১ রানের ইনিংস। আর শেষ দিকে ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩১ বলে খেলেন ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস।ক্যারিবিয়ানদের সবচেয়ে সফল বোলার জেমন মোহাম্মদ। ৪৭ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন আলজারি জোসেফ।