দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এই আবেদন করেন। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে আজ বুধবার (৩ মার্চ)।
পরিবারের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জমা দেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার স্থায়ী জামিনের আবেদনও করা হয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সব শর্তই অক্ষরে-অক্ষরে পালন করে আসছেন। ফলে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আশা করা যেতে পারে সরকার তাকে স্থায়ী জামিন দিবে।
চলতি মার্চের ২৫ তারিখ তার দ্বিতীয় দফার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
গত বছরর ২৫ মার্চ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়। মুক্তির পর থেকেই গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আছেন খালেদা জিয়া। সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে ১১ মাস তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সর্ম্পকিত দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন।