প্রকাশ: বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১, ৯:৫৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আফগানিস্তানে ৩ নারী সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা
আফগানিস্তানে তিন নারী সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পূর্ব আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাদের গুলি করা হয়।
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, বেশ কিছুদিন থেকেই আফগানিস্তানে শহুরে পেশাজীবীরা চোরাগোপ্তা হামলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। এই তিন নারী কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরবার পথে হামলার মুখে পড়েন। আততায়ীরা তাদের মাথায় গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ওই তিন নারী সাংবাদিকের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। পরিকল্পিত ও পৃথক দুটি হামলায় তাদের হত্যা করা হয়। এ ছাড়া এই হামলায় আরও এক নারী সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি।
আফগান পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িত প্রধান বন্দুকধারীকে আটক করেছেন তারা। আটককৃত ওই ব্যক্তি তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলেও দাবি করেছে পুলিশ। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে তালেবান।
এদিকে টিভি চ্যানেলটির প্রধান নির্বাহী জালমাই লতিফি জানিয়েছেন, সম্প্রতি মাধ্যমিক স্কুলে পড়া শেষ করে তাদের প্রতিষ্ঠানের ডাবিং বিভাগে যোগদান করেছিলেন ওই তিন নারী কর্মী।
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মুরসাল ওয়াহিদি নামের এক নারী কর্মী বাড়ি ফেরার পথে বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। বাকি দু’জন হলেন শাহনাজ এবং সাদিয়া। তারা পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন। ওই নারী কর্মীরাও বাড়ি ফেরার পথেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এএফপিকে জালমাই লাতিফি বলেন, ‘তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে। তারা কাজ শেষে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন।’
এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় আহত এক নারীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
ইনিকাস টিভি স্টেশন জানিয়েছে, তাদের ১০ জন নারী কর্মী আছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে মালালাই মাইওয়ান্দ নামে এক সংবাদ উপস্থাপিকা নিহত হন। এ পর্যন্ত তাদের চারজন নারী কর্মী নিহত হয়েছেন। এদিকে, গত মাসেই রাজধানী কাবুলে সুপ্রিম কোর্টের দুই নারী বিচারককে হত্যা করা হয়।
সম্প্রতি আফগানিস্তানে রক্তক্ষয়ী হামলার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ জন্য তালেবানকে দায়ী করে আসছে দেশটির প্রশাসন। দেশটির গোয়েন্দাপ্রধানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ১৮ হাজারের বেশি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এসব হামলা বা হত্যার বেশিরভাগের দায় কোনো জঙ্গি সংগঠনই স্বীকার করেনি। তবে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরোধীপক্ষ সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানকে দায়ী করে থাকেন।