প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১, ৯:৫৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ২৫ লাখ ছাড়ল
করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে দেশে দেশে চলছে টিকাদান। কিন্ত এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ কোটি ৪৯ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ লাখ ৫০ হাজার। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ কোটি ৭ লাখের বেশি মানুষ।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫ লাখ ২৭ হাজার ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এখন পর্যন্ত সেখানে ২ কোটি ৯৩ লাখ ১৪ হাজার ২৫৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯৮ লাখ ১৭ হাজার ৫৩২ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৬১৯ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৭৫ জন। মৃত্যু বিবেচনায় দেশটি বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৫৫৮ জন।
করোনাভাইরাসে শনাক্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০৮ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩৬ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ১০০ জন।
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫০ জন। মারা গেছেন ৮৬ হাজার ৪৫৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৪ জন।
আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ লাখ ৮২ হাজার ৬৫০ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৯৫৩ জন। আর ২৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৪ জন সুস্থ হয়েছেন। তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এরপর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।