এখন উত্তর সিরিয়ায় সশস্ত্র রক্ষীদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ক্যাম্পে দুর্গত অবস্থায় আছেন শামীমা। তার স্বামী সিরীয় কারাগারে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে এবং তাদের তিনটি সন্তানই মারা গেছে।
২১ বছর বয়সী শামীমার দাবি, ব্রিটিশ সরকারের বেআইনি সিদ্ধান্তে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন এবং তার মৃত্যুর ঝুঁকি আছে। শামীমার আইনজীবীদের যুক্তি, শুনানিতে অবাধে অংশ নিতে না পারলে এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল হয়ে যাবে।
২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান শামীমা। তবে দেশটির সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। এরপর বিষয়টি আদালতে গড়ায়। পরে গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত।
তবে শামীমা বেগমের বিষয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেছিলেন, শামীমা সে দেশের (যুক্তরাজ্যের) নাগরিক। তিনি কখনো বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি। কাজেই তাকে নিয়ে বাংলাদেশের কিছু করার নেই।
ভোরের পাতা/কে