শিরোনাম: |
হল খোলার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঢাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
|
আগামী মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলার সিদ্ধান্তের কথা শিক্ষামন্ত্রী জানালেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ১ মার্চের মধ্যে হল খোলার দাবি জানিয়েছে। করোনা মহামারিতে এগারো মাস ধরে বন্ধ থাকা হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি পেশ ছাড়াও জোর করে হলে ওঠার ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাবি ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হল খোলার ঘোষণা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু হলেও আবাসন সঙ্কটে থাকা শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ঘোষণা দেন, রোজার ঈদের পর ২৪ মে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। তার আগে ১৭ মে থেকে ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তা মানতে রাজি নন। আগের দিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা ভেঙে ভেতরে অবস্থান নিলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ ঘটনার প্রভাব পড়ে। সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও অমর একুশে হলের প্রধান ফটকের শিকল খুলে ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক হলের ভেতরে অবস্থান শেষে দুপুর সোয়া ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে যায় এবং বিকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি দেয়। সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ছাড়া অফিস-আদালত সবকিছুই চলছে। এখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সবকিছু চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অচল করে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। করোনাভাইরাসের কারণে আমরা এক বছরের সেশনজটে পড়ে গেছি। সেশনজট যাতে আর দীর্ঘায়িত না হয়, সেজন্য পহেলা মার্চ থেকেই আমরা হলে উঠতে চাই। সমাবেশ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে হল খুলে দেওয়ার জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে যান আন্দোলনকারীরা। পরে তাদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে হল খোলার দাবি সংবলিত স্মারকলিপি পেশ করেন। সেখান থেকে ফিরে তারা সাংবাদিকদের বলেন, উপাচার্য তাদের দাবির বিষয়ে (আজকের) একাডেমিক কাউন্সিলে কথা বলবেন। একাডেমিক কাউন্সিল যদি হল খোলার সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে তারা পরবর্তী কর্মসূচিতে যাবেন। পরে সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, 'একটি পরিপ্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৩ মার্চ থেকে অনার্স ও মাস্টার্সের পরিক্ষার্থীদের হলে রেখে পরীক্ষা নেওয়ার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) জরুরি ভিত্তিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকেছি। সেখানে আমাদের জাতীয় সিদ্ধান্ত, শিক্ষার্থীদের ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনা, তাদের হলে উঠানো এবং পরীক্ষার তারিখগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।' তিনি আরও বলেন, 'মহামারি পরিস্থিতিতে জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত আসতে হয়, সমন্বিত হতে হয়। না হলে অনেক সময় মহামারির ঝুঁকি বাড়ে। সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই একাডেমিক কাউন্সিল সভা করবে।' ভোরের পাতা-এনই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |