শিরোনাম: |
ইউপি নির্বাচন: ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের হাতে নৌকার প্রতীক দিবে আ.লীগ
ভোরের পাতা ডেস্ক
|
![]() ইউপি নির্বাচন: ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের হাতে নৌকার প্রতীক দিবে আ.লীগ আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা না হলেও শুরু হয়েছে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। দলীয় নিজস্ব টিম, বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীর হাতেই ইউপিতে নৌকা তুলে দিতে চান দলের হাইকমান্ড। গতবার যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছিলেন, তাদের জন্য এবার মনোনয়নের দরজা বন্ধ। স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্য, হাইব্রিডদের ‘না’ জানাবে ক্ষমতাসীন দলটি। দলের নীতিনির্ধারক ফোরামের একাধিক নেতা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘দেশের মানুষ উন্নয়ন ও স্থিতিশীল পরিবেশ চায়, যা বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সক্ষম হয়েছেন। সে কারণেই চলমান পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে জয়যুক্ত হচ্ছেন। আশা করি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও সে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহীদের ব্যাপারে আমাদের কঠোর অবস্থান। যারা বিগত সময়ে বিদ্রোহী হয়েছিলেন তারা এখন দলীয় মনোনয়ন কিংবা পদ-পদবিও পাবেন না। গত এক যুগে অনেকে নানা দল থেকে যোগদান করে আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন। মনোনয়নের ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। কোনো স্বাধীনতাবিরোধী, কিংবা অন্য দল থেকে আসা কাউকে মনোনয়ন দেব না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, ত্যাগী ও পরীক্ষিত ব্যক্তির হাতেই নৌকা তুলে দেওয়া হবে।’ দলীয় সূত্রমতে, পৌরসভা নির্বাচনের আমেজ শেষ হতে না হতেই আওয়ামী লীগ ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে। এ জন্য দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো যারা দীর্ঘদিন দল করছেন কিন্তু কোনো মূল্যায়িত হননি তাদের খুঁজে বের করে নৌকা দিয়ে মূল্যায়ন করা। ‘দুর্নীতিবাজ’ বা ‘ইমেজ সংকট’ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মনোনয়ন না দিয়ে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী চূড়ান্ত করা। একই সঙ্গে গত এক যুগে যারা বিভিন্ন দল থেকে হিজরত করে আওয়ামী লীগে যোগদান করে এখন ‘লীগার’ হয়েছেন, তাদের ‘না’ করা। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। গণমানুষের কাছে যে ব্যক্তির গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি তাকেই ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী করা হবে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যথেষ্ট খোঁজখবর নিচ্ছে। যার বিরুদ্ধে গণমানুষের কিংবা রাষ্ট্রের অভিযোগ রয়েছে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্য জানান, চলমান পৌরসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যাতে পড়তে না হয় সে জন্য ইউপি নির্বাচনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন দলীয় প্রধান। ইউপি নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন এমন কাউকে এবারের ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে এবার গুরুত্ব দেওয়া হবে। আগে দেখা গেছে, সংসদ সদস্য কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যানদের আত্মীয়স্বজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতো। এবার সে ধারা আর দেখতে চান না দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হওয়ায় গ্রামগঞ্জে সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোও তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী কৌশল ও প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে শুরু করেছে তৎপরতা। আওয়ামী লীগে দলীয় প্রতীক পেতে তৃণমূলের প্রার্থীরা এরই মধ্যে উঠান-বৈঠক শুরু করেছেন। নির্বাচনের ব্যাপারে এলাকাবাসীর মতামত জানতে এসব বৈঠক করা হয়েছে। নির্বাচনের দিনকাল ঠিক না হলেও দলীয় নেতাদের নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া দলীয় প্রতীক পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ভোরের পাতা/ই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |