প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:৩৫ পিএম আপডেট: ১৯.০২.২০২১ ৮:৫৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের সদ্য কমিটির অনুপম সাহার সমর্থকদের হামলায় আহত হয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি আতিকুল বাশার পক্ষের ২০জন ছাত্রলীগ কর্মী। তারা সবাই ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সমর্থিত নেতাকর্মী বলে জানা যায়। দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে কমিটি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এর জের ধরেই বৃহস্পতিবার বিকাল হতে রাত আটটা পর্যন্ত ছাত্রাবাসের ভিতরেই এই ঘটনা ঘটে। মারধরের সময় চিৎকার করে ছাত্ররা হোস্টেল হতে আহত আবস্থায় বের হতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থী আরমান ও আকাশ জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি এম ৫২ ব্যাচের অনুপম সাহা ও সাধারণ সম্পাদক এম ৫৩ ব্যাচের আবদুল্লাহ আল হাসানের অনুসারীরা সদ্য বিদায়ী
কমিটির নেতাকর্মীদের ছাত্রাবাস হতে বিতাড়িত করতে সশস্ত্র হামলা করে। তারা নেতাকর্মীদের হলের মধ্য আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন করে। তাদের সাথে একাত্মতা পোষন না করাই তারা হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: চিত্র রঞ্জন দেবনাথ ছাত্রাবাসে প্রবেশের পর হামলার পরবর্তী সময়ে অনুপম সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল হাসানের সমর্থকরা ক্যাম্পাসে একটি মিছিল বের করে। প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভুমিকা সাধারন ছাত্রছাত্রীদের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ সভাপতি অনুপম সাহা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনার সময় ছিলাম না, পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তুচ্ছ ঘটাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ডা: চিত্র রঞ্জন দেবনাথ সাথে কথা বলতে গেলে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে দ্রুত চলে যান।
এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘর্ষ,হামলা, ভাঙচুর, শিক্ষার্থীরা আহত, তালাবদ্ধ ছিলো। প্রিন্সিপালের নীরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, এইসবের নেপথ্যে কারা।
নগরীর কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক শিবিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘটনার খবর শুনে তাঁরা পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন পরিবেশ শান্ত ছিলো। তিনি বলেন, পুলিশ মেডিকেল কলেজের কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তো ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। ছাত্রাবাসের নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন ছিল।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতি দুটি বলয়ে বিভক্ত।
ভোরের পাতা/কে