শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫    মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির    মৎস খাতে বাংলাদেশকে ১৭২ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে জাপান     আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হলেন আম্পায়ার সৈকত    জেনে নিন আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস    শুক্রবার নাগাদ আসতে পারে ভারতের পেঁয়াজ    বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা সফল হবে না
#ষড়যন্ত্রকারীরা ফের ৭৫ এর পুনরাবৃত্তি করার পাঁয়তারা করছে: মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ। #শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস বাড়ছেই: নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। #আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরছি: সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:৩০ পিএম আপডেট: ১৩.০২.২০২১ ১০:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা সফল হবে না

ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা সফল হবে না

বাংলাদেশের জন্মের আগে থেকেই ষড়যন্ত্র চলে আসছে। এখনো কিন্তু ষড়যন্ত্র চলছে। শুধু আল জাজিরাই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি গণমাধ্যম এ বিষয়ে নানা ধরণের গুজব প্রচার করছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নানা ধরণের প্রোপাগান্ডা প্রচার করেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।



দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২৪৯তম পর্বে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।

মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশের জন্মের আগে থেকেই ষড়যন্ত্র চলে আসছে। এখনো কিন্তু ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে আমরা দেখবো যে, যারা বাংলাদেশের জন্মের বিরুদ্ধে ছিল অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির লোকেরা সব সময় একটা কাজ যে, এই বাংলাদেশে যখনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোকেরা সরকারে থাকে তখনি তারা এই ষড়যন্ত্রের মাত্রা বেড়ে যায়। তখনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা তুলে, বাংলাদেশের প্রশাসন নিয়ে তারা কথা তুলে, তারা এসব প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশকে গর্তের মধ্যে ফেলতে চায়। তারা জানে যে বর্তমান সরকার অর্থাৎ আওয়ামী লীগের যে জনসমর্থন আছে এবং এরা তৃণমূল পর্যায়ে যে রকম শক্তিশালী একটা জনমত গড়ে তুলেছে তাতে এই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিরা কোনভাবেই এই সরকারকে সরাতে পারবে না। তারা জানে যে সাংবিধানিকভাবে কোনো ভাবেই এই সরকারকে সরাতে পারবে না, তখনি তারা এই ষড়যন্ত্র অর্থাৎ শর্টকাট পথ খুঁজে বের করে। তখন আমরা দেখি যে, তারা একটি গোষ্ঠীকে যেকোনো উপায়ে এই ষড়যন্ত্রের পিছনে লেলিয়ে দেয়। আমরা আগেও দেখেছি যে, তারা হেফাজতসহ আরও বিভিন্ন মোল্লা সংগঠনকে এর পিছনে জড়িয়ে দেয়। এখন আবার তারা সেনাবাহিনীর পিছনে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ১৯৭৫ সালের এই সেনাবাহিনীর একটি অংশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, এখন তারা সেই আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তির ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের বর্তমান যে আবির্ভাব হয়েছে অর্থাৎ যেভাবে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে গিয়েছে সেখানে বাংলাদেশের জনগণের জীবন যাত্রার মান ক্রমশয় উন্নত হচ্ছে। এটা এখন মুখের কথা নয় বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে এবং এটা তারা অনুমান করতে পারছে বিধায় এখন আবার সেই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যেরকম অপপ্রচার আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি সেখানে সবাইকে সত্য এবং সঠিক তথ্য দিয়ে তাদেরকে যেন বিভ্রান্তির পথ থেকে ফিরিয়ে আনা যায় সেজন্য আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে।

অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমি প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমার অগ্রজ মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ স্যারের কথার সূত্র ধরেই আজকের বিষয়বস্তুর ওপর আলোচনায় অংশ নিচ্ছি। ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে ঘিরে শুরু থেকেই হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে। শুধু আল জাজিরাই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি গণমাধ্যম এ বিষয়ে নানা ধরণের গুজব প্রচার করছে। সেখানে আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জড়িয়ে নানা ধরণের প্রোপাগান্ডা প্রচার করেছে। এতে আমি বিচলিত নই। যেহেতু নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসাবে জানিপপের মাধ্যমে আমি গত ৩০ বছর ধরে কাজ করছি, তাই তারা প্রচার করছে আমি নাকি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলো থেকে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে এসেছি। আসলে সেখানে কোনো গাড়ি বের হওয়ার মতো পথই নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করে তারা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারছে কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশে সকল সঠিক তথ্যই বেরিয়ে আসছে। তাই এ ধরণের অপপ্রচারে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছুই হচ্ছে না। উল্টো জনগণের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটানোর কারণে শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস দিনদিন বাড়ছেই।

সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, ষড়যন্ত্র তো সেই একাত্তর সাল থেকেই শুরু হয়েছে। আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি যার নেতৃত্বে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা লাভ করি, যে মুজিব সহস্র সংগ্রামের মাধ্যমে এই আওয়ামী লীগকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন সেই মহা মানবই কিন্তু আমাদের এই ভাষার মাসের মূল আন্দোলন শুরু করেন। তার পর আস্তে আস্তে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন বাংলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করি। তারপর ১৯৭৫ সালের আমাদের জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর এই ষড়যন্ত্রের মূল বীজ বপন করা হয়। আজ যার খেতাব নিয়ে কথা হচ্ছে তিনি তো ৭৫ এর পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান শাহ‌ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন, আব্দুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছেন। এই জিয়াউর রহমানের পত্নী বেগম জিয়া নিজামিসহ আরও অনেক যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে আমাদের বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে বাংলাদেশের অবমাননা করেছেন। হাজার শহীদের বিনিময়ে আমাদের এই অর্জিত পতাকা তারা তুলে দিয়েছিলেন এই যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে। তখন থেকেই তো ষড়যন্ত্র হয়েছে। জিয়া বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, পরে হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিল। তেমনই খালেদা জিয়াও একইভাবে একই কাজ করেছিল। বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে জড়িত সেই নিজামী-মুজাহিদদের মন্ত্রী করে তাদেরকে পুরস্কৃত করেছিল। আসলে বাংলার ইতিহাসে প্রত্যেকটি রন্ধে রন্ধে এই সকল কুচক্রীরা ধাপে ধাপে এইসকল ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনো তারা সক্রিয় আছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় সে খেতাবটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ জামুকার ৭২তম সভায় একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ওই হত্যাকাণ্ডে মদদ দেয়ার কারণে জিয়াউর রহমানের খেতাবও বাতিলের সিদ্ধান্তকে আমি মনে করি এটা আসলেই একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]