প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যে দোয়া পড়লে আল্লাহর আজাব থেকে মুক্তি মিলবে
শুরুতেই কোরআন শরিফ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে পড়তে ও জানতে। কোরআন অজ্ঞতাকে অভিহিত করেছে মহাপাপ রূপে। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে জ্ঞানের পথে, মুক্তবুদ্ধির পথে। এমনকি বিশ্বাসের স্তরে পৌঁছার জন্যেও মানুষের সহজাত বিচারবুদ্ধির প্রয়োগকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে কোরআন। বৈষয়িক ও আত্মিক জীবনকেও একই সূত্রে গেঁথেছে কোরআন। সুস্পষ্টভাবেই বলেছে, আল্লাহর বিধান অনুসরণ করো। দুনিয়া ও আখেরাতে তুমি সম্মানিত হবে। বিপথগামী হলে আজাব (শাস্তি) কেমন হবে সেটাও কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন।
যারা সত্য অস্বীকার করেছে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করেছে, পাপে নিমজ্জিত হয়ে সত্যের প্রতি কর্ণপাত করেনি তাদেরকেই আল্লাহর আজাব গ্রাস করবে। যারা বিশ্বাসের সঙ্গে সৎকর্ম করেছে কেবল তারাই সব ধরনের সুফল উপভোগ করবে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচতে নিয়মিত ছোট্ট একটি দোয়া পড়তেন। হাদিসের বর্ণনা থেকে তা সুস্পষ্ট। এটি ছিল উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য অন্যতম শিক্ষা। কী দোয়া পড়তেন বিশ্বনবি?
হজরত হুজাইফা ইবনে ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন, তখন তিনি নিজের ডান হাত মাথার নিচে রেখে বলতেন-
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরকালের আজাব থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়তেন, সে দোয়ায় মুমিন বান্দার জন্য রয়েছে দুনিয়ার আজাব-গজব থেকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা ও শিক্ষা।
কেননা আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় বান্দাদের পরকালীন জীবনকে সুন্দর করতে দুনিয়ার জীবনকে করবেন গোনাহমুক্ত। আর গোনাহমুক্ত জীবনের অধিকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ কখনো আজাব-গজবের সম্মুখীন করবেন না। বরং দেবেন যথাযথ নিরাপত্তা। এটা মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, দিনের কোনো সময় এ দোয়াটি পড়ার সুযোগ না পেলেও অন্তত ঘুমানের সময় হাদিসের বর্ণনা মোতাবেক ডান হাত মাথার নিচে রেখে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া।