শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম: ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র    স্বর্ণের দাম ফের বাড়ল    বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে কমল    বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে: কাদের    উপজেলা নির্বাচন : এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান ও আত্মীয়রা প্রার্থী হতে পারবেন না    চুয়াডাঙ্গায় বইছে তীব্র তাপদাহ, হিট এলার্ট জারি    তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
শিশুর চোখের যেসব ক্ষতি করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার!
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১, ২:৪৯ এএম আপডেট: ২৫.০১.২০২১ ২:৫৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ

শিশুর চোখের যেসব ক্ষতি করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার!

শিশুর চোখের যেসব ক্ষতি করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার!

মহামারি আকারে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তখন এর বিস্তার রোধের সবচেয়ে সহজ, সাশ্রয়ী ও কার্যকর উপায়গুলোর একটি হয়ে দাঁড়ায় ঘন-ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া। কিন্তু যখন পানি বা সাবান হাতের নাগালে থাকে না, তখন হ্যান্ড স্যানিটাইজারই ভরসা। এই জীবাণুনাশকে ৭০ শতাংশের ওপর ইথানল বা অ্যালকোহল থাকে। 

এক দিকে জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য যেমন এই স্যানিটাইজার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে, অন্য দিকে, এর কারণেই বাড়ছে শিশুদের নানা সমস্যা। ‘আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র এমন কথাই জানিয়েছে।

বিশেষ করে ফ্রান্সে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা জানা গেছে। বেশ কয়েকটি শিশুর চোখের মধ্যে চলে গেছে স্যানিটাইজার।  ক্ষতিগ্রস্ত চোখ সারাতে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করতে হয়েছে অনেকের।

ফ্রান্সের পয়জন কন্ট্রোল সেন্টারের হিসাবে, গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায়  হ্যান্ড স্যানিটাইজার শিশুদের চোখের সংস্পর্শে আসার ঘটনা সাতগুণ বেড়েছে।  একই সময়ে, প্যারিসের শিশু চক্ষু হাসপাতালে ১৬ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছিল। যেখানে ২০১৯ সালে এই ধরনের সমস্যায় কেবল একটি শিশুকে ভর্তি করা হয়।  শুধু তাই নয়, দুটি গুরুতর রোগীর ক্ষেত্রে কর্নিয়ার টিস্যু প্রতিস্থাপনের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছিল।

আর হাসপাতালের এই ঘটনাগুলোর সবই ৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ঘটেছিল।

এর ব্যাখ্যায় ফরাসি গবেষকরা বলেছেন, এর কারণ সম্ভবত স্যানিটাইজার জেল ডিসপেনসারগুলো সাধারণত এক মিটার (৩ ফুট) উচ্চতায় রাখা থাকে। এটি বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কের কোমর বরাবর হলেও ছোট শিশুদের চোখ বরাবর থাকে।

নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রসম্যান স্কুল অব মেডিসিনের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ক্যাথরিন কলবি এই গবেষণার ফলাফলের বিষয়ে এক মন্তব্যে বলেন, জনসমাগম স্থলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিস্তৃত ব্যবহারের ফলে, অল্পবয়স্ক শিশুরা এই ডিসপেনসারগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হবে এটিই স্বাভাবিক।  অনেক ডিসপেনসার এমনভাবে রাখা হয় যাতে স্যানিটাইজার শিশুর চোখে লাগে।  

গত বৃহস্পতিবার জেএএমএ অপথালমোলজি সাময়িকীতে এই সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে।

ফ্রান্সের সরকারি উপাত্ত অনুযায়ী,  ২০১৯ সালে শিশুদের চোখ রাসায়নিকের সংস্পর্শে যাওয়ার ঘটনার মধ্যে মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ২০২০ সালে এই ঘটনা ৯ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়ায়। অবশ্য এর মধ্যে অধিকাংশ ঘটনাই গুরুতর ছিল না।

গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে জনসমাগমস্থলে রাখা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ডিসপেনসার।  ২০২০ সালে এ ধরনের ডিসপেনসার থেকে শিশুর চোখে স্যানিটাইজার যাওয়ার ঘটনা ছিল ৬৩টি। যেখানে ২০১৯ সালে একটিও ছিল না।

অনেক হ্যান্ড স্যানিটাইজারে উচ্চ ঘনত্বের ইথানল থাকে। এই রাসায়নিকটি  চোখের কর্নিয়ার কোষ মেরে ফেলতে পারে।

একই জার্নালে প্রকাশিত অন্য একটি গবেষণায়, ভারতের চিকিত্সকরা এমন দুটি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। অনেকের হ্যান্ড স্যানিটাইজারের স্প্রে চোখে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, এটি মারাত্মক।  ৪ বছর বয়সী এক শিশুর ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছিল। সে জানায়, এরপর থেকে আলো সহ্য করতে পারছিল না।  ৫ বছর বয়সী আরেক শিশুর চোখের পাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  তবে লবণ-পানি দিয়ে ধোয়া এবং চোখের ড্রপ ব্যবহার করে এ ধরনের সমস্যা থেকে দ্রুতই উপশম হয়েছে। 

শিশুদের এই ধরনের ঝুঁকি এড়াতে চিকিৎসকরা কিছু সুপারিশও তুলে ধরেছেন:

হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বদলে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া উৎসাহিত করা

কীভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হয় সে ব্যাপারে শিশুদের প্রশিক্ষণ দেয়া



দোকান এবং শপিংমলগুলোতে শিশুদের জন্য পৃথক ডিসপেনসার রাখা। এমন উচ্চতায় রাখা যেন কমপক্ষে তাদের মুখের নিচে থাকে।

স্যানিটাইজার ডিসপেনসারের পাশে ‘সাবধানতার’ চিহ্ন ব্যবহার করা।


ভোরের পাতা/কে 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]