বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে অপহরণ হয়েছিল শিশু হানজেলা (৬)। এরপর শিশুর মার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। এ বিষয়ে শিশুটির পরিবার থানায় অপহরণের অভিযোগ দিলে দেড় মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার অপহরণকারীরা ফোন করে শিশুটির মাকে হানজেলার লাশের সন্ধান দেন। অপহরণকারীর ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে পলিথিনে মোড়ানো লাশটি উদ্ধার করে।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলা রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের নিশুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত শিশু হানজেলা নিশুপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী পিন্টু মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মানিক মিয়া জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে শিশু হানজেলা অপহৃত হয়। ঘটনার দিনই বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি করা হয়। ছেলে অপহরণের খবর পেয়ে দুদিন পর তার বাবা দেশে ফিরে আসেন। এদিকে ওই শিশুর মা তাছলিমার মোবাইলে ফোন করে প্রথমে পাঁচ লাখ ও পরে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। টাকা না দিলে ছেলেকে হত্যা করা হবে বলে জানায়। শিশুটির বাবা-মা অপহরণকারীর মোবাইল নম্বর নিয়ে থানা পুলিশের কাছে ধর্ণা দেন। কিন্তু গত ১ মাস ১০ দিনেও শিশুটি উদ্ধার কিংবা অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যে নম্বর থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল, সেই একই নম্বর থেকে শিশুটির মাকে ফোন করে টাকা না পাওয়ায় তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সাথে তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে মরদেহ আছে বলেও জানায় অপহরণকারী। পরে পুকুর থেকে পলিথিনে মোড়ানো এবং ইট বেঁধে পানিতে ডুবে রাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার ওসি নূরুজ্জামান জানান, ফোন নাম্বারটার কয়েক দফা সিডিআর বের করা হয়েছে। কিন্তু ভুয়া নাম ব্যবহার করায় ট্রেস করা যায়নি। তারপরেও পুলিশ কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে গেছে। হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।