একসময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি আজকে সারা বিশ্বে প্রশংসায় ফুলঝুরিতে পূর্ণ হয়েছে। আজকের দেশব্যাপী উন্নয়নের মহাকাব্য চলছে। আজকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে চলে এসেছি। ২০৪১ সালে মধ্যে আমরা উন্নীত দেশে রূপান্তরিত হবো, এটা জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছেন তার কর্মসূচীর মাধ্যমে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২২৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা, পাবলিক একসেস ব্যারিস্টার এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য চৌধুরী হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্র (CBIR) এর পরিচালক শাহিদুল হাসান খোকন। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
শাহিদুল হাসান খোকন বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে যে গতিতে বা ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে এবং এটাকে ধরে রাখতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো আমাদের সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হবে। সেই সাথে আমাদের যেটি করতে হবে, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেটা ছিল আমাদের সংবিধানের মূল ভিত্তি সেটা এগিয়ে নিতে আমাদের আরও তরান্বিত করতে হবে। আমাদের যে গতি ধাঁরা, আমাদের যে তরুণ প্রজন্ম আছে তারা পৃথিবীর যেকোনো তরুণদের সাথে যেকোনো বিষয়ে যুদ্ধ করে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে বলে আমি মনে করি। আজকে শুধু ভ্যাকসিনের বিষয় নয়, ভারত বাংলাদেশের যে হৃদয়গত সম্পর্ক আছে সেটা নষ্ট করতে চায় যারা বাংলাদেশের এই উন্নয়নকে পিছিয়ে নিতে চায়, যারা এই এই উন্নয়নকে দেখতে পারে না, যাদের গাত্র জ্বালা করে। তারা নানা রকম প্রোপাগান্ডা করে এই ধারাটিকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করতে চাচ্ছে। আজকে এই সংলাপের মাধ্যমে আমি সবাইকে আহ্বান জানাবো যে, অত্যন্ত প্রকৃত সত্যটি সবার কাছে তুলে ধরার জন্য। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধন আছে সেটা গণমাধ্যমে তুলে ধরে মানুষকে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য। যাতে দুদেশের বন্ধুরত সম্পর্ক কোনভাবেই বিনষ্ট না হয়, কোন রকম আমরা পিছিয়ে না যেতে পারি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে রাষ্ট্র কাঠামো ও উন্নয়ন চলছে তা এক বাক্যে আমরা বলতে পারি, পৃথিবীর প্রথম শ্রেণির রাষ্ট্র কাঠামোর সাথে তুলনা করা যায়।