শিরোনাম: |
‘আজমেরীর চালক’ ১০ বছর ধরে হালকা যানের লাইসেন্সেই বাস চালাচ্ছিলেন
ভোরের পাতা ডেস্ক
|
![]() ‘আজমেরীর চালক’ ১০ বছর ধরে হালকা যানের লাইসেন্সেই বাস চালাচ্ছিলেন ওই চালকের নাম তসিকুল ইসলাম (২৮)। তার হালকা যান চালানোর লাইসেন্স আছে। ১০ বছর ধরে এই লাইসেন্স দিয়েই তিনি বাস চালাচ্ছিলেন। সাধারণত বাস ও ট্রাক চালকদের পেশাদার ও ভারি যান চালানোর লাইসেন্স নিতে হয়। সোমবার মধ্যরাতে গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় বাসের হেলপার ও কন্ডাক্টর পলাতক রয়েছেন। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নিজস্ব গোয়েন্দাদের তথ্য, প্রথাগত ও প্রযুক্তিগত তদন্তের ভিত্তিতে অবস্থান শনাক্ত করে চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে চালক দাবি করে, মোটরসাইকেলটি হঠাৎ তার সামনে আসে, কুয়াশার কারণে সে মোটরসাইকেলকে দেখতে না পাওয়ায় চাপা লেগে যায়। এ বিষয়ে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানান, এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে। থানা-পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে। পাশাপাশি সিআইডিও ছায়া তদন্ত করেছে। শেখ ওমর আরো বলেন, আজমেরী বাসের চালক চাপা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আমাদের তদন্ত শেষে বিস্তারিত উঠে আসবে। এদিকে সিআইডি কার্যালয়ে ছবি তোলার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চালক তসিকুল। তার লাইসেন্স আছে কি-না জানতে চাইলে তসিকুল বলেন, আমার হালকা যান চালানোর লাইসেন্স আছে। ১০ বছর ধরে এই লাইসেন্স দিয়েই আমি গাড়ি চালাচ্ছি। সিআইডি জানায়, চালক তসিকুল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শেরপুর গ্রামে। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীবাহী আজমেরী বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী আকাশ ইকবাল (৩৩) ও মায়া হাজারিকা (২৫) নিহত হন। তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। বিমানবন্দর এলাকার পদ্মা ওয়েল গেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তাদের বাসা দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকায়। এ দম্পতির আরফা আনজুম নামের চার বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |