বিজিবি বেনাপোল সীমান্তে ৩০৪ চোরাচালানি ধরেছে ১ বছরে
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিজিবি বেনাপোল সীমান্তে ৩০৪ চোরাচালানি ধরেছে ১ বছরে
করোনাকালীন সময়ও নিরাপত্তার সাথে যেন পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল যশোরের বেনাপোল সীমান্ত পথে চোরাচালান। ২০২০ সালে বেনাপোল সীমান্ত থেকে শুধু ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অভিযানে ১১৯ কোটি ৮২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের মাদক, স্বর্ণ, আগ্নেয়াস্ত্র, বৈদেশিক মুদ্রা, চন্দন কাঠ, কসমেটিকস ও গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য জব্দ হয়েছে। এ সময় পাচারে জড়িত ৩০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সীমান্ত নিরাপত্তা ও চোরাচালান রোধসহ সব ধরনের পাচার কার্যক্রম প্রতিহত করতে বছর ধরে বর্ডার গার্ড বিজিবির নিয়মিত ও অভিযান চালিয়ে আসছে। গত বছরের ১ জানুয়ারি হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজিবির অভিযানে ৩৩ হাজার ৬৯৮ বোতল ফেনসিডিল, ৪১ কেজি ৭৭২ গ্রাম সোনা, ৭ লাখ ৩৮ হাজার ইউএস ডলার, ২২ লাখ ৯২ হাজার ২০০ ভারতীয় রুপি, ১৩টি পিস্তল, ২৪টি ম্যাগজিন, ৫৮ রাউন্ড গুলি, ৫৪৮ বোতল মদ, ১২১২ পিস ইয়াবা ও ৯১৫ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এছাড়া আটক হয় বিপুল পরিমাণে চন্দন কাঠ, গার্মেন্টস ও কসমেটিকস পণ্য। এ সময় চোরাচালানে জড়িত ৩০৪ জন গ্রেফতার হয়।
আটককৃত মাদক ও চোরাচালান পণ্যের বাজার মূল্য ১১৯ কোটি ৮২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।
৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, বেনাপোল বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকা। এত কাছাকাছি জনবসতি থাকলে চোরাচালান রোধ কঠিন। মূল হোতারা স্থানীয় অসহায় মানুষকে ব্যবহার করে পাচার কার্যক্রম চালায়। ফলে সহজে মাদক প্রবেশ করে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অভ্যন্তরে। তবে চোরাচালান প্রতিরোধে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বিজিবি আন্তরিকভাবে কাজ করছে। খুব শীঘ্রই চোরাচালান শূন্যের কোঠায় চলে আসবে।
উল্লেখ্য, যশোর এলাকায় ভারতের সাথে ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত পথ রয়েছে। সেখানে সীমান্ত রক্ষায় ও চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করছে ৫ শতাধিক বিজিবি সদস্য। বিজিবি সীমান্তে নাইট ভিশন ক্যামেরা, ভাসমান বিওপি, নৌরুটে স্পিড বোটসহ বেশ কিছু আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত রয়েছে।