প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব তার দাদিকে শেষবার দেখতে যেতে পারলেন না
আজ বিকেএসপিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ। কিন্তু তার আগেই দুঃসংবাদ শুনতে হলো সাকিব আল হাসানকে। মাগুরায় গ্রামের বাড়িতে বুধবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন তার দাদি রেবেকা নাহার (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তবে দাদিকে শেষবার দেখতে পারেননি সাকিব।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বাদ জোহর মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বায়ো-বাবলের (জৈব সুরক্ষ বলয়) মধ্যে থাকার কারণে সাকিবের কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ উপলক্ষে বাংলাদেশ দলের ২৪ জন ক্রিকেটারকে প্রবেশ করানো হয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। করোনা পরবর্তী সময়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যারা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। যার ক্ষমতা রয়েছে, প্রতিশ্রুত করোনা প্রটোকলের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে বিনা নোটিশে পুরো দল নিয়ে ফিরে যাওয়ার।
এ কারণে বিসিবি কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে টিমসংশ্লিষ্ট এমনকি মিডিয়া ম্যানেজারকে পর্যন্ত প্রবেশ করিয়েছেন বায়ো বাবলের মধ্যে।
এখন সাকিব আল হাসান যদি সেই জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে মাগুরা যেতেন,তাহলে তাকে ফিরে এসে আবারো তিন থেকে চারদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হতো। করোনা টেস্ট করতে হতো। নানা ঝামেলা শেষ করে আবারো ঢুকতে হতো বায়ো-বাবলের মধ্যে। সুতরাং এতসব কিছুর মধ্যে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটাই মিস হয়ে যেত সাকিবের।
এ ঝুঁকি তিনি নিতে চাননি। দেশের প্রয়োজনেই সাকিবের দাদির জানাজায় অংশ নিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত। যদিও দাদির মৃত্যুর সংবাদ যে সাকিব পুরোপুরি হজম করতে পারেননি, সেটা দেখা গেল বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিবের পারফরম্যান্স দেখে। বল হাতে তো পুরোপুরি ব্যর্থ। ব্যাট হাতেও সাকুল্যে ৯ রান করেছেন তিনি।
সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা মাগুরায় সাংবাদিকদের বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বায়ো সিকিউর বাবলে (জৈব সুরক্ষা বলয়) থাকার কারণে, দাদিকে শেষবারের মতো দেখতে মাগুরায় আসতে পারবে না সাকিব।