পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি তখনই ফলপ্রসু হবে যখন ইরান এই সমঝোতা থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার আগে মার্কিনিদের তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে বলে মনে করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।
গত মঙ্গলবার তেহরানে দেয়া এক সাক্ষাৎকাওে জারিফ বলেন, ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করেই যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু সমঝোতায় ফিরে এলে তা কেবল ওয়াশিংটনেরই স্বার্থ রক্ষা করবে।পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে মার্কিন সরকার শুধু ইরানের ওপর আগের নিষেধাজ্ঞাগুলোই পুনর্বহাল করেনি সেই সঙ্গে নতুন নতুন আরো জটিল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তিনি বলেন, ইরানের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। কেবলমাত্র তারপরই ইরান পরমাণু সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসা নিয়ে কথা বলবে।ইরানের তেলবিক্রির ওপর থেকে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানের ব্যাংকিং লেনদেনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে দিতে হবে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে তেহরানের স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে হবে। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইরানবিরোধী ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতি সম্পর্কে জাভেদ জারিফ বলেন, এখন পর্যন্ত ৭ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমানে সারাবিশ্ব বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি শুধু ব্যর্থ হয়নি বরং চাপ প্রয়োগ করতে গিয়ে মার্কিন সরকারও চরম অপদস্থ হয়েছে।