জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জয়যাত্রা কানাডা টাইমসের আহমেদ হোসেন শাহিনের সঞ্চালনায় গত ১০ জানুয়ারী এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও জয়যাত্রা টেলিভিশনের এমডি হেলেনা জাহাঙ্গীর। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল হক, মেলবোর্ন থেকে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. মোল্লা হক, বেলজিয়াম আওয়ামীলীগের প্রেসিডেন্ট বুলু বজলুর রশিদ, রিয়াদ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর গোলাম কবির মিলন, জার্মানি থেকে প্রফেসর এন্ড ক্যানসার কিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম আবু জাকারিয়া, ক্যালগরী আওয়ামীলীগের প্রেসিডেন্ট ড. জাফর সেলিম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ক্যালগরী প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আবদুল্যা রফিক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, এই দিনটি আমাদের জন্য একটি আনন্দের দিন, আনুষ্ঠানিক বিজয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ হলেও ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণ রূপ পেয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ৪৯ থেকে বঙ্গবন্ধু আপামর মানুষকে সংগঠিত করে ১৯৭১ সালে এ দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন।
স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা। সত্যি আজ তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আলোর পথে এগিয়ে চলেছি। পরিকল্পনা মন্ত্রী তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের গৃহিত ৮ম বার্ষিক পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, এটি ঐতিহাসিক এবং স্বরণীয় দিন। দেশ যতদিন থাকবে ঘুরেফিরে ১০ জানুয়ারী আসবে এবং আমরা আনন্দের সাথে এই দিবসটি পালন করব। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, মুক্তযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করলাম, ঢাকাকে শত্রুমুক্ত করলাম কিন্তু তৃপ্তি বা শান্তি পাচ্ছিলামনা। অপেক্ষায় ছিলাম কখন আসবেন জাতির জনক ? অবশেষে এল সেই মাহেন্দক্ষন তাই এই দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান পরিকল্পনা মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এখানে ৭ তারিখ এসেছি এখানকার সংগঠন সমূহের সাথে আলাপ আলোচনা সম্পন্ন করেছি আমি কানাডায় বসবাস কারী সহ বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তরিকতাসহ এখানে বসবাসকারী বঙ্গবন্ধুর খুনীকে দেশে ফেরত পাঠানো ও কানাডার মত দেশ যেন বঙ্গবন্ধুর খুনীকে আশ্রয় প্রত্যাহার করে তার জন্যও যথাসাধ্য চেষ্ঠা করব।