প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ২:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাবরের বিরুদ্ধে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পেছাল
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পিছিয়েছে।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের আদালত আগামী ২১ জানুয়ারি নতুন এদিন ধার্য করেন।
এদিন মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ছিল। কিন্তু দুদক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল অন্য মামলায় শুনানিতে ব্যস্ত থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। এজন্য দুদকের পক্ষ থেকে সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। এর আগে কারাগারে থাকা আসামি বাবরকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২০০৭ সালের ২৮ মে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া এ আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুইটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ১২ আগষ্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত নয় সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ সাক্ষী শেষে গত বছরের ১ মার্চ ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা করা হয়। আসামি পক্ষের আরজি সাফাই সাক্ষী দেবেন না, তবে লিখিত বক্তব্য দেবেন বলে সময় নেন। লিখিত বক্তব্য না দিয়ে এভাবে পরপর তিনবার সময় নেন তারা।
এরপর লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে আদালত পরিবর্তনের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট ১৪ অক্টোবর আবেদনটি সরাসরি খারিজ করেন এবং আদেশ হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।