শিরোনাম: |
'ভয়ংকর' এমপি পুত্র মিতুল হাকিমের অপকর্মের উপাখ্যান (পর্ব-০১)
উৎপল দাস
|
![]() 'ভয়ংকর' এমপি পুত্র মিতুল হাকিমের অপকর্মের উপাখ্যান (পর্ব-০১) নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, রাজবাড়ী ২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের পুত্র মিতুল হাকিম পুরো জেলা জুড়েই এক আতংকের নাম। ‘রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম ও তার পুত্র মিতুল হাকিমের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিম্মি স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীরা। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পিতা-পুত্রের মদদে বিগত ১২ বছরে প্রায় ৩৯ জন খুন ও হামলার শিকার হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমপি পুত্রের হাতুড়ি বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ে ২০০ এর বেশি নেতাকর্মী এলাকা ছেড়েছেন।’ এছাড়া, নির্ভরযোগ্য আরেকটি সূত্র জানিয়েছে ইতিমধ্যেই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে মিতুল হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের পাতাকে বলেন, অভিযোগ ইতিমধ্যেই পেয়েছি। দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা এখনো ছায়া তদন্ত করছি। তারপর মিতুল হাকিমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কাজ শুরু করবো। তখনই বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। এমনকি তদন্ত শুরু হলে তাকে দুদকে তলবও করা হবে। উল্লেখ্য, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন থেকে শুরু করে হাতুড়ি বাহিনীর মাধ্যমে রাজবাড়ীর ত্রাসে পরিণত হয়েছেন এই মিতুল হাকিম। প্রতিবেশী এবং বন্ধুপ্রতীম একটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের করা সংখ্যালঘু নির্যাতনে জনপ্রতিনিধি এবং তার আত্নীয়-স্বজনদের সম্পৃক্ততা নিয়ে তৈরি করা এক গোপন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নতুন কিছু নয়। তাদের মধ্যে তালিকার শীর্ষ স্থানীয় অবস্থানেই রয়েছেন মিতুল হাকিম। রাজবাড়ীর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের এই এমপি পুত্র সংখ্যালঘুদের ওপর এতটাই নির্যাতন করেছেন, তারা বাধ্য হয়ে মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এমন একজন ভুক্তভোগীর সাথে ভোরের পাতার এ প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমার পরিবারের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে মিতুল হাকিম ও তার ক্যাডার বাহিনী, তা অমানবিক এবং পাশবিক। বাধ্য হয়েই আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকেই প্রতিবেশী দেশে পাঠিয়েছি। সেখানেও তারা ভালো নেই। ভুক্তভোগী আরো বলেন, নিজের বাপ-দাদার বাড়িতে যেতে পারি না। এখনো ঢাকায় পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে কয়েকবার মিতুল হাকিমকে ফোন করা হলেও তিনি একবারই ফোন ধরেন। তিনি বলেন, আমি এখন কোনো মন্তব্য দিতে পারবো না। আমার মেয়েটা অসুস্থ। মেয়ে সুস্থ হলে এ প্রতিবেদকের সাথে সরাসরি দেখা করে কথা বলার ইচ্ছে পোষণ করেন তিনি। তবে এ প্রতিবেদক তার মেয়ের অবস্থা কেমন এটা জানতে চেয়ে ২ সপ্তাহ আগে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি তার কোনো প্রতিউত্তর করেননি। আগামী পর্বে: মিতুল হাকিমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ দুদকে
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |